রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির জাতাীয়তাবাদী উপজেলা ও পৌরসভা অঙ্গ সংগঠন সহ যৌথ উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার ১১ই মার্চ কাদের নগর স্থানে এই ইফতার ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করেন। এই সময় প্রধান অতিথি বক্তব্য বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেছেন, “নোংরা রাজনীতি আওয়ামীলীগ করেছিলো, সেটা আমরা করি না। যারা আমাদেরকে কষ্ট দিয়েছে, আমাদের সন্তানদের কষ্ট দিয়েছে, এই কষ্ট আমরা কাউকে দেবো না। তবে তাদের নজরে রাখবো। আওয়ামীলীগ হচ্ছে জনগনে বিষফোঁড়া মনে রাখবেন, সবার উপরে বিশ্বাস করা যায়, কিন্তু আওয়ামী লীগকে নয়।” রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক মুহাম্মদ মহসিনের সভাপতিত্বে এবং মাকসুদুর রহমান চৌধুরী মাসুদ ও মো. ফারুকুল ইসলামের সঞ্চালনায়, বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা বিএনপি নেতা শওকত আলী নূর, মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা যুবদলের সি: সহ সভাপতি মো. ইউসুফ চৌধুরী, মো. নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, মো. খোরশেদ আলম, মো. মসিউদ্দৌলা, মো. হেলাল উদ্দিন শাহ, এখতিয়ার হোসেন, মো. শহিদুল্লাহ, মো. আনছুর উদ্দিন, দিলদার হোসেন, শাহেদ কামাল, মাস্টার কামাল উদ্দীন, আনোয়ারুল হক, সৈয়দনূর কাজী নাজিম উদ্দীন, আবু বক্কর, হেলাল আহমদ প্রমুখ। হুমাম কাদের চৌধুরী আরও বলেন, গতবার আমরা যখন রাঙ্গুনিয়ায় ইফতারের জন্য আহবান করেছিলাম, তখন যে প্যান্ডেল টানানো হয়েছিলো, সেই প্যান্ডেলে আওয়ামীলীগ এসে আগুন দিয়েছিলো। নেতাকর্মীরা তখন আমাকে এসে বলেছিলো, আপনার জন্য ঠিক হবে না, আপনি এলাকায় যেতে পারবেন না। হামলা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তখন আমি তাদের কথা মেনে নিলাম, আমি এলাকায় যাবো না। আমার মাকে যখন এই কথা বলা হলো, মা তখন বলেছিলো, কাদের নগর আমার বাড়ি, আমার বাড়ির থেকে আমাকে কে বাইরে রাখতে পারে আমি দেখতে চায়। আমার মা এখানে চলে আসলো, এসে দেখলো গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। খেজুর দিয়ে ইফতার করলো। তখন এলাকাবাসী যারা ছিলো, তাদেরকে আশ্বস্ত করলো, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবার রাঙ্গুনিয়া ছেড়ে কোথাও যাবে না। তিনি আরও বলেন, বার বার করে বলা হচ্ছে, রাঙ্গুনিয়ার নেতৃত্ব দিতে হবে রাঙ্গুনিয়ার মানুষদেরকে দিয়ে। বাবা ওয়াদা করে গিয়েছিলো, মরে গেলে দাফন যেনো রাঙ্গুনিয়াতে করা হয়। এই বাড়িতে দাঁড়িয়ে আমিও বার বার করে বলে দিতে চায়, ত্যাগ করলাম, ওয়াদা করে যাচ্ছি আপনাদের কাছে, মরে গেলে বাবার পাশে শুইবো না, রাঙ্গুনিয়ার মাটিতেই শুইবো। আমার বিপদের সময় আমি রাউজানের মানুষকে পাশে পাইনি, ফটিকছড়ির মানুষকে পাশে পায়নি, পাশে পেয়েছি রাঙ্গুনিয়া মানুষকে এবং তাদের উপরই ভরসা করেছিলাম। রাঙ্গুনিয়ার মানুষ আমার পাশে দাঁড়িয়েছিলো। বাবার কবরের পাশে যখন আমরা তাকে দাফন করছি, এখনো যখন ছবি দেখছি, তখন দেখছি বেশিরভাগ মানুষ রাঙ্গুনিয়ার। আমার খারাপ সময়ে আপনারা যেমন আমার পাশে দাড়িয়েছেন, যতদিন বেচে আছি, রাজনীতি করি আর না করি, রাঙ্গুনিয়ার গোলাম হিসেবে আমি থেকে যাবো। আপনারা যদি আমার দলকে আমার বাবাকে ভালবেসে থাকেন, তবে আমার দরজা আপনাদের জন্য সবসময়ে খোলা রয়েছে। আমি বুক দিয়েছি রাঙ্গুনিয়ার মানুষের জন্য, পিঠ কখনো দেখাবো না। যতদিন বেচে আছি, রাঙ্গুনিয়ার মানুষের জন্য কাজ করে যাবো।”