বিভিন্ন দেশ থেকে দর্শনার্থীরা কলকাতার আউটটাম ঘাট থেকে গঙ্গাসাগর মেলায় উপস্থিত হচ্ছেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি গঙ্গাসাগর মেলায় এসে উপস্থিত হয়েছেন, কোন কোন দর্শনার্থী আগেই গঙ্গা স্নান সেরে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন আবার বহু দর্শনার্থী মকর সংক্রান্তির দিনে স্নান করার জন্য উপস্থিত হয়েছেন।
মকর সংক্রান্তির দিন ভোর থেকেই শুরু হয়েছে স্নান। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় প্রতিবছরের মতো এ বছরও গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন করেছেন এবং দর্শনার্থীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রেখেছেন, প্রত্যেক দর্শনার্থী থেকে শুরু করে মিডিয়ার সাংবাদিক বন্ধুদের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকার ইন্সুরেন্স ব্যবস্থা করেছেন ,
তাহাতে কাহারো কোন কিছু হলে সরকারের তরফ থেকে সাহায্য পায়, এছাড়াও পরিবহন থেকে শুরু করে প্রশাসনিক বিভাগ, ইলেকট্রিক সাপ্লাই, স্বাস্থ্য বিভাগ, দুর্যোগ মোকাবিলা টিম, ফায়ার ব্রিগেড সমস্ত কিছুর ব্যবস্থা রেখেছেন, এমনকি এম্বুলেন্সও, যাহাতে কেউ অসুস্থ হলে সাথে সাথে তার চিকিৎসার জন্য সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা পায়।।এই মেলার আয়োজন ৮ই জানুয়ারি থেকে ১৭ই জানুয়ারি পর্যন্ত, সকল পূর্ণত্বিকা কপিলমুনির মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য ভিড় জমাতে থাকেন। মাঝে মাঝেই মাইকিং এর মাধ্যমে প্রশাসনের তরফ থেকে সতর্কবার্তা দেন, কেউ বেশিদূর জলে যেন না নেমে স্নান করেন, এমনকি ইনভেস্টিগেশন টীম পর্যন্ত মাঝেমধ্যেই কুকুর নিয়ে পরিদর্শনে নামছেন,
এছাড়াও সকল দর্শনার্থীদের মাইকিং এর মাধ্যমে সতর্ক করে দিচ্ছেন তাদের জিনিসপত্র নিজেদের দায়িত্বে রাখার জন্য , কারণ চুরি হতে পারে, কয়েকজনের জিনিসপত্র চুরি হওয়ার ফলে আরও সতর্কবার্তা দিচ্ছেন প্রশাসনের তরফ থেকে। সিসিটিভি বসানো থাকলেও মাঝেমধ্যেই দর্শনার্থীদে জিনিস চুরি হচ্ছে বলে জানান। দর্শনার্থীরা গঙ্গায় স্নান সেরে সূর্য দেবতা ও গবাদিকে পুজো দিয়ে নিজেদের মঙ্গল কামনা জানান,
কিন্তু এই বছর কুম্ভ মেলা পড়ে যাওয়ায় কিছুটা দর্শনার্থীর হার কম, আবার অনেকেই গঙ্গাস্নান সেরে বিভিন্ন মন্দিরে পূজো দিয়ে, কুম্ভ মেলার উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন বলে জানালেন, দর্শনার্থীরা জানান, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন
আমরা খুশি, আমাদের জন্য কোনরকম ত্রুটি রাখেন নি। এবং গঙ্গাসাগরকে সুন্দরভাবে সাজিয়েছেন। গঙ্গাস্নান পূর্ণ স্নান, আর সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার।