সোমবার ১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সকাল ১০:৫১
শিরোনামঃ
এমপিওভুক্তির দাবিতে পূর্বঘোষিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে শিক্ষকদের উপর জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ৪ শিক্ষক আহত। ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা কোলাকুলি করে শান্তি চুক্তি মেলবন্ধন অনুষ্ঠিত আনন্দ পুর রোডে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট আগুনে পুড়ে ছাই ৩ সবজির দোকান জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের ১৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে,৩১ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫ অনুষ্ঠিত হল। নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্ত বক্তব্য দিচ্ছেন যারা, নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করছেন, তারা পতিত স্বৈরাচারী সরকারের দোসর-প্রেস সচিব শফিকুল। আলম গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা চলছে ৭ই নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান-মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন-প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা হত্যাকাণ্ডের দায় ‘নিরাপত্তা বাহিনী’র ওপর দিলেন শেখ হাসিনা। নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা গ্রেপ্তার

আগামী নির্বাচনে যেই দলই জনগণের সমর্থন পাক না কেন, সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা থাকবে না-প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর, ২৭, ২০২৫, ২:৫২ পূর্বাহ্ণ
  • ৭৬ ০৯ বার দেখা হয়েছে

আগামী নির্বাচনে যেই দলই জনগণের সমর্থন পাক না কেন, সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা থাকবে না-প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

তিনি আরও বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছি। পাশাপাশি, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও আইনের শাসন নিশ্চিত করার জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে নাগরিকবান্ধব সংস্কার চালিয়ে যাচ্ছি।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ৮০তম সাধারণ অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে ভাষণদানকালে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

লিখিত বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘের সভাপতিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‌‘সদ্যগণঅভ্যুত্থান সংঘটিত একটি দেশের রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষা শোনানোর জন্য গতবছর এ সভায় দাঁড়িয়েছিলাম। আজ রূপান্তরের অগ্রযাত্রায় আমরা কতটুকু অগ্রসর হতে পেরেছি তা বলবো।’

তিনি বলেন, ‌‘পৃথিবীর প্রতি ১০০ জনের মধ্যে তিনজনের মতো বাংলাদেশে বাস করে। কিন্তু সে কারণে অথবা ভূ-রাজনৈতিকভাবে বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে বাংলাদেশ রয়েছে বলে আমাদের এ ইতিহাস জানার দরকার, তা কিন্তু নয়। বরং এ কারণে বাংলাদেশের এই বর্ণনাটি গুরুত্বপূর্ণ যে, তা সাধারণ মানুষের অসাধারণ ক্ষমতার ওপর আস্থা তৈরি করবে। এ কারণে বর্ণনাটি গুরুত্বপূর্ণ যে, তা বিশ্বের সব দেশের মধ্যে আশার সঞ্চার করবে যে, সংকট যত গভীরই হোক না কেন বা তার নিরসন যত অসম্ভবই মনে হোক না কেন, কখনই তা থেকে উত্তরণের পথ হারিয়ে যায় না।’অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের দাবিতে এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ জন্মলাভ করে। কিন্তু যে অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা বিশাল আত্মত্যাগ করেছিলাম, তা গত পাঁচ দশকে বারবার বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। বারবার আমাদের ছেলেমেয়েদের নেতৃত্বে আমাদের জনগণকে অসংখ্য ত্যাগ স্বীকার করে সে অধিকারকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে হয়েছে।’

‘এই বছর আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথমবার্ষিকী পালন করেছি—যে অভ্যুত্থানে আমাদের তরুণসমাজ স্বৈরাচারকে পরাভূত করেছিল। যার ফলে আমরা বৈষম্যমুক্ত ও ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের অভিযাত্রা নতুনভাবে শুরু করতে পেরেছি। সেই বৈষম্যমুক্ত ও ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের দায়িত্ব দেওয়া হয় আমাকে ও আমার সহকর্মীদের। ভেঙেপড়া রাষ্ট্র কাঠামোকে পুনর্গঠন করে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য প্রয়োজন ছিল ব্যাপক প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের। যে বিপুল জনসমর্থনের মাধ্যমে আমরা দায়িত্ব পেয়েছিলাম, তার প্রেক্ষাপটে আমাদের জন্যে সহজ পথ ছিল নির্বাহী আদেশে সংস্কার কাজগুলো করা। কিন্তু আমরা বেছে নেই কঠিন পথ—অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই পথ।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ক্ষমতার ভারসাম্যপূর্ণ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তোলা—যেখানে আর কোনো স্বৈরশাসকের আবির্ভাব হবে না, কোনো নির্বাচিত নেতা রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক স্বরূপকে ক্ষুণ্ন করতে পারবে না। কিংবা রাষ্ট্র ও জনগণের রক্ষকরা ভক্ষকে পরিণত হতে পারবে না।’

সংস্কার কমিশনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “শাসনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম, নারী অধিকারসহ সব জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার করার জন্য আমরা ১১টি স্বাধীন সংস্কার কমিশন প্রতিষ্ঠা করি। কমিশনগুলো জনমত যাচাই ও গভীর পর্যালোচনা করে বিস্তারিত সংস্কার কার্যক্রম সুপারিশ করে।
এ সংস্কার সুপারিশগুলো টেকসইভাবে বাস্তবায়নের জন্য আমরা একটি জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন গঠন করি, যারা ৩০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল ও জোটকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। এ কমিশনের লক্ষ্য ছিল সংস্কার প্রস্তাবগুলোর প্রতি দলমত নির্বিশেষে একটি টেকসই সামাজিক অঙ্গীকার তৈরি করা। আমাদের এই অন্তর্ভুক্তিমূলক পদক্ষেপ সফল হয়। আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছরপূর্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে সবাই মিলে ‘জুলাই ঘোষণা’র মাধ্যমে এই সংস্কার কার্যক্রমের প্রতি আমাদের সময়াবদ্ধ অঙ্গীকার ব্যক্ত করি।”

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell