এই প্রতিষ্ঠান চলমান অবস্থায় উর্ধতন কতৃপক্ষ এবং কর্মীর অভাব ছিলনা। কিন্তু প্রতিষ্ঠান যখন বিপদে নিমজ্জিত , তখন আর কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে প্রতিষ্ঠানটি সংকটের মুখোমুখি হয়। তখন উর্বতন কতৃপক্ষের অনেকেই প্রতিষ্ঠানটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। জনবল শুন্য হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় আমি প্রতিষ্ঠানের একজন বেতনভুক্ত কর্মচারী হয়েও প্রতিষ্ঠানটিকে টিকিয়ে রাখতে শক্ত হাতে হাল ধরি এবং প্রতিষ্ঠান কে সংকট থেকে মুক্ত করে দাড় করাই।
প্রতিষ্ঠান যখন সংকট এর হাত থেকে মুক্ত হয়ে ঘুরে দাড়ানো শুরু করে তখন কর্মকর্তারা আবার সবাই আগের মত ভীড় জমাতে শুরু করে এবং পরিকল্পনা বিহীন কর্মকান্ড পরিচালনা করে। এত করে প্রতিষ্ঠানটি দেউলিয়া হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানটি দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পর অনেকেই আবার গা ঢাকা দেয়। কিন্তু আমি এলাকায় বসবাস করি বিধায় আমার পক্ষে গা ঢাকা দেয়া সম্ভব হয় নাই। এতে করে প্রতিষ্ঠানের দুঃসময়ে আমি একা মাঠে ছিলাম। যার ফলে আমানত কারীরা আমাকে চিনে। বর্তমানে কর্মকর্তা আবার গা ঢাকা দেয়ার কারণে আমানতকারীরা তাদের আমানতের জন্য প্রতিনিয়ত আমাকে হেনস্তা করে, যার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। প্রতিষ্ঠানে সুদিন ফিরিয়ে আনার পর আমি একজন কর্মচারী হিসেবে আমার সমস্ত হিসাব কতৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিই। কিন্তু আমানতকারীরা কতৃপক্ষকে না পেয়ে প্রতিনিয়ত আমাকে এবং আমার মেয়েকে লাঞ্ছিত করে আমার সামাজিক আত্মমর্যদা ও মান সম্মান ক্ষুন্ন করছে। আমজনতার কাচে আমার প্রশ্ন, ‘আমার অপরাধ কি’?