আমানুল্লাহ খানের পুত্র ,পাপ্পু মালিকের ছোট ভাই এহসানুল আলম খান অপু। এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষক মশিউর রহমান দুই বছর যাবত ওই বাড়ীর দোতলায় একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। তিনি এই ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে নিয়মিত ব্যাচ পড়ান। বুধবার দুপুরে তার রুমে বসে থাকা অবস্থায় বাড়ীর মালিকের ছোট ভাই অপু কোনো কারণ ছাড়াই তার কক্ষে ঢুকে তাকে হুমকি দিয়ে বলেন বাড়ী ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এসময় ভয়ে শিক্ষক মশিউর রহমান বাড়ীর বাইরে চলে যায়। রাত ৯টার দিকে শিক্ষক মশিউর রহমান বাসায় ফিরলে তাকে চারতলায় ডেকে নেওয়া হয়। পরে অপু লোহার হাতুড়ি এবং বাঁশ দিয়ে তাকে পিটায়। এক পর্যায়ে শিক্ষক মশিউরের মাথায় আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায়। পরবর্তীতে রক্তাক্ত অবস্থায় সে ফ্লোরে পড়ে থাকে। একপর্যায়ে তার রুমমেট আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষক শাহজাহান সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মাথায় ৭টি সেলাই দেওয়া হয়। পরে তার পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকালে আহত শিক্ষক মশিউর রহমানের পক্ষে নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডি’র সদস্য আবদুস সালাম, ওয়াহিদ সা’দত বাবু ও সরকার আলম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান এবং সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিচুর রহমানকে অবহিত করলে তাদেরকে থানায় এসে মামলা করার পরামর্শ দেন। পরে গভর্নিং বডি’র তিন সদস্য সদর মডেল থানায় গিয়ে অপুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। গভর্নিং বডি’র অপর সদস্য ওয়াহিদ সাদত বাবু এবং সরকার আলম শিক্ষক মশিউর রহমানকে হত্যা প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসামীদের দ্রæত গ্রেফতারের দাবী জানান।
এ ব্যাপারে গভর্নিং বডি’র সদস্য আবদুস সালাম জানান, একটি সন্ত্রাসী মহল মশিউর রহমানকে হত্যার প্রচেষ্টা চালায়। এ ঘটনার পর ওই শিক্ষককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
তিনি জানান, মশিউর রহমান একা ওই বাসায় অবস্থান করত। নিরাপত্তার কারণে তাকে ঢাকায় চিকিৎসা করানো হচ্ছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিচুর রহমান জানান, মশিউর রহমানকে আহত করার বিষয়ে মামলা নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে আসামীকে গ্রেফতার করার জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।