লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদের দাবি, নারায়ণগঞ্জের একসময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী জাকিরের বিরুদ্ধে চারটি হত্যাসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে। এসব মামলায় বিভিন্ন সময় কারাগারেও ছিলেন। কিন্তু কারাগার থেকে মুক্তির পর তিনি আবার দুর্ধর্ষ হয়ে ওঠেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ এলাকায় বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী ও মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। দেওভোগ এলাকার সন্ত্রাসী দয়াল মাসুদকে হত্যা করে শহরে ত্রাস সৃষ্টি করেন। ২০০৩ সালে সাব্বির আলম হত্যাকাণ্ডের পর তিনি দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ডে পাড়ি জমান। এর পর থেকেই গ্রেপ্তার এড়াতে জাকির দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন।
জাকিরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, ১৯৯৪ সালে জাকিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসমূলক অপরাধ দমন বিশেষ আইনে মামলা করা হয়। ওই মামলায় তাঁর ১৭ বছরের সাজা হয়। উচ্চ আদালতে সেই সাজা কমে আট বছর হলেও গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি দেশে ও বিদেশে প্রায় ২১ বছর পলাতক ছিলেন। ২০০৩ সালে সাব্বির হত্যা মামলায় আসামি হওয়ার পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। দীর্ঘদিন তিনি থাইল্যান্ডে ছিলেন। সম্প্রতি ভারত হয়ে বাংলাদেশে আসেন। এরপর পরিচয় গোপন করে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এক বছর ধরে সপরিবার বসবাস করছিলেন। আজ ভোরে ওই এলাকা থেকে বিদেশি পিস্তলসহ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
জানা গেছে, ১৯৯৫-৯৬ সালে জাকির জাতীয় পার্টির প্রয়াত সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের সঙ্গে রাজনীতি করতেন। নাসিম ওসমানের লোকজনের সঙ্গে বিরোধ দেখা দিলে জাকির বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০৪ সালে বিএনপি র্যাব গঠন করলে জাকির দেশ ছেড়ে পালান।