এর মধ্যে বর্তমান জনবলের পাশাপাশি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত ১০০ সদস্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়োগ দেওয়া হবে এপিবিএনের অতিরিক্ত ৬০ সদস্য। পাশাপাশি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অতিরিক্ত ৫৪ আনসার সদস্য দেওয়া হবে।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বেবিচক সূত্র এই তথ্য জানায়। সূত্রটি জানায়, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সম্প্রতি বৈঠক করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। এই বৈঠকে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়টি আসে। পরে গত ৫ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আহম্মেদ জামিলের সই করা এক চিঠিতে নিরাপত্তা জোরদারে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয় সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যানকে।
ওই চিঠিতে সিকিউরিটি পাসের অপব্যবহার রোধ, সিসিটিভি ক্যামেরা সচল রেখে ফুটেজ যথাযথভাবে রেকর্ড করাসহ ১২ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়
বেবিচক সূত্র জানায়, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেবিচকের নিজস্ব ৫৭৪ নিরাপত্তাকর্মী নিয়োজিত আছেন। এপিবিএনের আছেন এক হাজার ৮৫, আনসারের ৯০২ জন। এছাড়া ইন্সট্রাকশন রিগার্ডিং এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ারের আওতায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মাধ্যমে বিমান বাহিনী ও জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে সংযুক্ত পুলিশ ও আনসারের আরও ২৮৩ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
এর বাইরে শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় বর্তমানে ২৪টি সংস্থা কাজ করছে। তাদের সবাইকে যার যার দায়িত্ব আন্তরিকভাবে পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরে আসা যানবাহন, যাত্রীদের সঙ্গে থাকা সরঞ্জাম বা ব্যাগ থেকেও নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্ব পালনের সময় আরও সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।