বুধবার ৩রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ১১:৩৬
শিরোনামঃ
জাফলংয়ে বেড়াতে এসে শুটার রিয়াজ গ্রেফতার কেশবপুর গ্রাম থেকে ব্যবসায়ীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল করিম খান প্রত্যাহার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৯ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযানে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ৭টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক-বাংলাদেশের সত্ত্বাকে গড়ে তুলতে বাধা’নির্বাচন বানচাল করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে’সতর্ক হতে হবে-প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জয় সিঙ্গাপুরে একটি স্কুলে ভর্তি হবে-অপু বিশ্বাস ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী মা ও মেয়ে নিহত হাতিরঝিলে অভিযান চালিয়ে হেরোইনসহ মাদক কারবারিকে গ্রেফতার পুলিশ দিবস” উপলক্ষে কলকাতা পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির পরিচালনায়, শান্তনু সিনহা বিশ্বাস মহাশয়ের নেতৃত্বে এক বিশাল বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান সম্পন্ন হল কলকাতা নজরুল মঞ্চে। হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী বেসরকারি ডক্টরের গলা কাটা লাশ উদ্ধার

ঈদে মিলাদুন্নবী অর্থ কি?এর ব্যাখ্যা ও আলোচনা

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: অক্টোবর, ৭, ২০২২, ৯:২৪ অপরাহ্ণ
  • ১২৯১ ০৯ বার দেখা হয়েছে

ঈদে মিলাদুন্নবী কি ?

ঈদ শব্দের আভিধানিক অর্থ হল খুশী হওয়া, ফিরে আসা, আনন্দ উৎযাপন করা ইত্যাদি। মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে প্রিয় নবীজীর আগমনকে বুঝায়। আর ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে নবীজীর আগমনে খুশী উৎযাপন করাকে বুঝায়। সহজ ভাষায় বলা চলে মিলাদুন্নবী অর্থ নবী (সাঃ) এর জন্ম বা আগমন।

সুতরাং অশান্তি আর বর্বরতায় ভরপুর সংঘাতময় আরবের বুকে আধারের বুক চিড়ে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শান্তি নিয়ে এসে মানবজাতিকে সত্যের, সভ্যতা ও ন্যায়ের দিক নির্দেশনা দিয়ে গোটা বিশ্বকে শান্তিতে পরিপূর্ণ করে তুলেন। নবীজীর পবিত্র শুভাগমনে খুশী উৎযাপন করাটাই হচ্ছে ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

অনেকেই হয়তো ঈদ ই মিলাদুন্নবী পালন করাকে বিদআত মনে করেন। আবার ভাবেন নবীজী যেখানে ঈদ ই মিলাদুন্নবী পালন করেননি, সেখানে ভণ্ড সুন্নীরা নতুন ঈদের সৃষ্টি করেছে। মুসলমানের ঈদ দুইটি- ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা।

কোরআনের একটি আয়াত উল্লেখ করা হলো —
আল্লাহ তাআলা ঘোষণা দিয়েছেন “আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত প্রাপ্তিতে খুশি পালন কর যা তোমাদের সমস্ত ধন দৌলত অপেক্ষা শ্রেয়। – (সূরা ইউনুস-৫৮)

এবং “স্মরণ কর আল্লাহর নিয়ামতকে যা তোমাদের উপর অবতীর্ণ হয়েছে” -(সূরা বাক্বারা-২৩১)

 আরেক আয়াতে বলা হয়–
“হে হাবীব, নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি” -(সূরা আম্বিয়া-১০৯)

এই তিনটি আয়াত একত্রিত করে বিবেচনা করলে দেখা যাবে আল্লাহর নবী আমাদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ রহমত। তাই তিনি যেদিন দুনিয়াতে তাশরীফ এনেছেন সেদিনকে স্মরণ করে আমাদের খুশি পালন করা উচিত। আর এই কাজটিকেই বলা হয় ঈদ ই মিলাদুন্নবী। অর্থাৎ নবীজীর আগমনে খুশী উৎযাপন করা। খুশী বলতে গান বাজনাকে বলা হয় নাই, খুশী মানেই নবীর শানে দরুত পড়া, জিকির করা, নবীজির জীবনী নিয়ে আলোচনা করা ইত্যাদি।

এবার আসা যাক আমাদের প্রিয় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম নিজেই মিলাদুন্নবী পালন করেছেন কিনা?

হ্যাঁ, নবীজী নিজেই নিজের মিলাদের দিনকে পালন করতে মুসলিম শরীফের একটি হাদিস দিয়েই তার প্রমাণ দেওয়ার চেষ্টা করছি।

হযরত আবু কাতাদা (রাঃ) হতে বর্নিত রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলায়হি ওয়াসাল্লামার দরবারে আরজ করা হলো তিনি প্রতি সোমবার রোজা রাখেন কেন?

উত্তরে নবীজি ইরশাদ করেন, এই দিনে আমি জম্ম গ্রহণ করেছি, এই দিনেই আমি প্রেরিত হয়েছি এবং এই দিনেই আমার উপর পবিত্র কুরআন নাযিল হয়।

(সহীহ মুসলিম শরীফ ২য় খন্ড, ৮১৯ পৃষ্ঠা, বায়হাকী: আহসানুল কুবরা, ৪র্থ খণ্ড ২৮৬ পৃ: মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল ৫ম খণ্ড ২৯৭ পৃ: মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ৪র্থ খণ্ড ২৯৬পৃঃ হিলিয়াতুল আউলিয়া ৯ম খণ্ড ৫২ পৃঃ)

এনিয়ে একটি আলোচনা দিয়ে ব্যাখ্যা—

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদিন তিনি কিছু লোক নিয়ে নিজ গৃহে নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মকালীন ঘটনাবলী বর্ণনা করছিলেন এবং তাঁর প্রশংসাবলী আলোচনা করে দুরুদ ও সালাম পেশ করছিলেন। ইত্যবসরে প্রিয়নবী (সঃ) হাজির হয়ে এ অবস্থা দেখে বললেন, তোমাদের জন্য আমার শাফায়াত আবশ্যক হয়ে গেল। -(ইবনে দাহইয়ার আত-তানবীর)

এ বর্ণণা থেকে বুঝা গেল নবীজী ঈদ ই মিলাদুন্নবী পালনকে সমর্থন করেছেন। আর ঈদ ই মিলাদুন্নবী পালনের ফযিলত কত বিশাল তা বুঝা যায় আবু লাহাবের ঘটনা থেকেই।

‘আবুলাহাব একজন কাফের হওয়ার পরও নবীজীর আগমণের দিন খুশি হয়ে সে তার সংবাদ দাতা দাসী সুয়াইবাকে আযাদ করে দেওয়ার কারণে পরকালে কঠিন আযাবের ভেতরে ও প্রতি সোমবার তার আযাব হালকা করে দেওয়া হয়। -(উল্লেখ্য যে আবু লাহাবের ঘটনা সম্পর্ক হাদিসটি আল্লামা ইবনে জাওযী, আল্লামা কুস্তালানী, আল্লামা জালালুদ্দিন সূয়ূতী সহ আরো অনেকে বর্ণনা করেছেন) ’

রেফারেন্স প্রয়োজন আরও কিছু সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হলো।
জগদ্বিখ্যাত গ্রন্থ “আন নে’মাতুন কোবরা আলাল ফি মাওলিদি সাইয়্যেদ ওলদে আদম” এর ৭-৮পৃঃ থেকে এগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে।

আল্লামা ইবনে হাজর হায়তামী(রহঃ) বলেছেন, খোলাফায়ে রাশেদীনগণের যুগেও মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম পালন করার নীতি প্রচলন ছিল।

হযরত আবু বকর সিদ্দীক(রাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এর জন্য এক দিরহাম খরচ করবে সে জান্নাতে আমার সাথী হবে।

হযরত ওমর (রাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এর সম্মান দিবে, সে দ্বীন ইসলামকেই জীবিত রাখবে।

হযরত ওসমান (রাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের জন্য এক দিরহাম খরচ করবে সে যেন নবীজীর সঙ্গে জঙ্গে বদর এবং জঙ্গে হোনাইনে শরীক হলো।

হযরত আলী (রাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামকে তা’যিম করবে এবং মিলাদ পাঠ করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে সে ঈমানের সঙ্গেই দুনিয়া হতে বিদায় গ্রহণ করবে এবং বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

উপরোক্ত কুরআন এবং হাদিস এর রেফারেন্স থেকে বুঝা যায় ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পালন হচ্ছে জান্নাত পাওয়ার মাধ্যম এবং সাহাবায়ে কেরামের আমল।তাই সাহাবায়ে কেরামের সঙ্গে একমত পোষন করে ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মাহফিল করা ঈমানদারদের জন্য একান্ত প্রয়োজন। আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন যেন মোনাফিকদের খপ্পর থেকে আমাদের ঈমানকে হেফাজত করেন এবং আমাদের সকলকে তাদের দলভুক্ত করেন যারা ঈদে মীলাদুন্নবীর মর্যাদা দান করেন এবং এর মর্যাদা উপলব্ধি করেন। তিনি আমাদেরকে তাঁর হাবীব, নবীগণের নবী, রসূলগণের রসূল, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আখাস্সুল খাস মুহিব্বীন ও অনুসারী বানিয়ে দিন।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell