সোমবার ১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ৩:৫২
শিরোনামঃ
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম বিতরণ করবে জাতীয় পার্টি গণঅভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যে গণঅভ্যুত্থানের নায়ক, নেতা ও অংশগ্রহণকারীদের টার্গেট করে হত্যা করা হচ্ছে-(এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। যেকোনো মূল্যে দেশে নির্বাচন হতে হবে -বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বাড্ডার গুদারাঘাটে চলন্ত বাসে আকস্মিকভাবে আগুন শরিফ ওসমান হাদীর উপর হামলা বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত-প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশের বিশিষ্ট অতিথিদের লোকনাথ ধামে আগমন– ভক্তদের মাঝে উৎসবের আমেজ নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবে সরকার -প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ধানের শীষের পক্ষে শো ডাউনে ও শ্লোগানে মুখরিত  চৌহালীর উমারপুর পথশ্রী উন্নয়ন নিয়ে, কামারহাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা সাংবাদিক সম্মেলন করেন।। তপন থিয়েটারে কার্নিভাল লেখক শিল্পী সমন্বয় সমিতির আয়োজনে জমকালো নাট্যসন্ধ্যা

উত্তাল পদ্মা পাড়ি দিতে গিয়ে গত ৪৫ দিনে ছয়বার পদ্মা সেতুতে ফেরির ধাক্কার ঘটনা

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: আগস্ট, ১৭, ২০২১, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ণ
  • ৩০৭ ০৯ বার দেখা হয়েছে

নগর সংবাদ।।বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নের বস্তু ছিল পদ্মা সেতু। আর এই সেতু নিয়ে হয়েছে নানা ধরনের সব কর্মকান্ড। শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়েছে সেই সেতুর স্বপ্ন। তবে বর্ষা মৌসুমেয় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে চলাচলকারী ফেরিগু’লোর কারিগরি ত্রুটির দিকটি সামনে এসেছে আবার। প্রশ্ন উঠেছে, তীব্র স্রোতের বিপরীতে ফেরি পরিচালনায় চালকদের দক্ষতা নিয়েও। এই রুটে চলাচলকারী ১৭টি রো-রো ও কে-টাইপ ফেরির চালকদের দক্ষতা, স্রোতের বিপরীতে ফেরির নিয়ন্ত্রণ ক্ষ’মতার দিকটি নিয়ে এখন বি’ষদ পর্যালোচনার প্রয়োজন বলে মনে করছেন পদ্মা সেতু ক’র্তৃপক্ষ, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মক’র্তারা। পদ্মা সেতু ক’র্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চার হাজার টনের জাহাজের ধাক্কা সহ্যের ক্ষ’মতা রয়েছে পদ্মা সেতুর। ১০ হাজার টনের ‘ফ্রিকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিং’ থাকায় রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প বা সমমানের কম্পন সহ্য ক্ষ’মতা রয়েছে। ফলে ৬০০ থেকে হাজার টনের ফেরির ধাক্কায় সেতুর ক্ষ’তির শ’ঙ্কা কম। ফেরির ধাক্কার ঘটনার পর মা’দারীপুরের বাংলাবাজার থেকে ঘাট সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শরীয়তপুরের জাজিরায়। তবুও প্রশ্ন উঠেছে, ফেরি চলাচলের জন্য ‘বিকল্প রুট বেছে নিতে এত সময় লাগছে কেন। চার দিনের ব্যবধানে শুক্রবার সকাল পৌনে সাতটার দিকে সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা খায় কে-টাইপের ফেরি ‘কাকলি’। গত বুধবার ‘বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নামে একটি ফেরি ধাক্কা খায় ১১ নম্বর পিলারে। গত ২৩ জুলাই ‘শাহজালাল’ ফেরি ধাক্কা খেয়েছিল ১৭ নম্বর পিলারে। ২ থেকেই ২০ জুলাইয়ের মধ্যে আরো তিনটি ধাক্কার ঘটনা ঘটেছিল। অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিওউটিসি) কর্মক’র্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে চলাচল করা ১৭টি ফেরির ১৫টিই মেয়াদোত্তীর্ণ। এগু’লোর গতি নদীতে বর্তমান স্রোতের গতির চেয়ে কম। ফলে ফেরি যখন সেতুর নিচ দিয়ে বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়ার দিকে আসে তখন স্রোতের পিলারে ধাক্কা খাচ্ছে। তারা জানান, তীব্র স্রোতের কারণে শুক্রবার ১৭টি ফেরির ১৩টি চলাচল বন্ধ ছিল। চারটি কে-টাইপ ফেরি চলাচল করে। স্রোতের কারণে সেগু’লোর নদী পারাপারে স্বাভা’বিকের দ্বিগু’ণ সময় লাগছে। শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক শাফায়েত আহম’দ জানিয়েছেন, গত ৪৫ দিনে ছয়টি ধাক্কার ঘটনার প্রতিটি ঘটেছে, ফেরি বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়ায় আসার পথে অর্থাৎ স্রোতের অনুকূলে চলার সময়। স্রোতের প্রতিকূলে চলে সেতুর নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় পিলার ধাক্কার একটি ঘটনাও ঘটেনি। এ বি’ষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন কর্মক’র্তা বলেন, শুক্রবার মাওয়া পয়েন্টে পানির গভীরতা ছিল পাঁচ দশমিক ৩৮ মিটার, যা ২০১৩ সালের পর সর্বোচ্চ। পানি বাড়ায় এ বছর নদী আগের তুলনায় খরস্রোতা। সে কারণেই একের পর ফেরি ধাক্কা খাচ্ছে সেতুর পিলারে। স্রোতের কারণে জরাজীর্ণ ফেরি চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পদ্মাসেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক দশকের পুরনো ফেরির দুর্বল ইঞ্জিনগু’লোর গতি বর্ষা মৌসুমে পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতের চেয়ে কম বা কাছাকাছি। সেতুর পিলার নির্মাণে নদীতে পানি প্রবাহের পথ সংকুচিত হয়ে স্রোতের গতি আরও বেড়েছে। নদীর তলদেশ থেকে পানির উপরে থাকা পিলারের ক্যাপ বা ভিত ষ’ড়ভূজ আকৃতির। এ আকৃতির কারণে সেগু’লোকে কে’টে স্রোত চলে যায়। ক্ষ’তি করতে পারে না। তবে এই আকৃতির কারণেই পিলারের দিকে পানির তোড় বেশি থাকে, ঘূর্ণন সৃ’ষ্টি হয়। ফলে দুর্বল ইঞ্জিনের ফেরিগু’লো স্রোতের টানে পিলারের দিকে গিয়ে ধাক্কা খাচ্ছে। আবার চালকদেরও দক্ষতার অভাব রয়েছে। তিনি জানান, ফেরির ধাক্কায় পদ্মা সেতুর ক্ষ’তি হওয়ার আশ’ঙ্কা কম। বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানিয়েছে, নদীতে চলতি বর্ষায় কারেন্ট (স্রোত) সেকেন্ডে দুই থেকে তিন মিটার। অর্থাৎ ঘন্টায় স্রোতের গতি সাত কিলোমিটারের বেশি। এ রুটে যেসব ফেরি চলে সেগু’লোর সর্বোচ্চ গতি ১০ দশমিক ২ কিলোমিটার। ভাটির দিকে আসার সময়, স্রোত ও নৌযানের গতি মিলিয়ে তা দাঁড়ায় ঘণ্টায় ১৭ কিলোমিটার। এ গতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষ’মতা নেই ফেরির। ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিলারে ধাক্কা মা’রে।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell