২৮ শে সেপ্টেম্বর শনিবার, প কলকাতার ঐতিহ্য বহনকারী ট্রাম বন্ধ হতে চলেছে, আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হতে হতে আর কিছুদিনের মধ্যেই পুরো বন্ধ হয়ে যাবে।, সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ, বিভিন্ন সংস্থা ট্রাম বিপদে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, সরকার কোনরকম ব্যবস্থা না নিয়ে টান তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন, যে ট্রাম কলকাতাকে সৌন্দর্যময় করে তুলেছিল, আজ লুপ্ত হতে বসেছে, আস্তে আস্তে কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো বন্ধ হয়ে যাবে সমস্ত ট্রাম, বিভিন্ন ট্রাম ডিপোই পড়ে রয়েছে ডজনে ডজনে ট্রাম। চালানোর ব্যবস্থা না করে, সমস্ত ট্রাম বন্ধ করে দিচ্ছে, ট্রাম ডিপুর মধ্যে পড়ে রয়েছে সারি সারি ট্রাম গুলি।
বোবার মতো হয়ে। অন্যদিকে আরেক চিত্র দেখা গেল, যে ট্রাম সরকার বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছেন, সেই ট্রামে চড়েই কবি শিল্পী ও পাবলিকেশন হাউস একটি সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন, গানে কবিতায় বই প্রকাশে সারা কলকাতা ঘুরলেন। তাহারাও দুঃখ পোশাক প্রকাশ করলেন, এই সৌন্দর্যময় ট্রাম বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থা, সরকারকে ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তারা চাই কলকাতার ঐতিহ্য যেন বন্ধ না হয়, কলকাতার ঐতিহ্যকে যেন ট্রাম বয়ে নিয়ে যায়, এই হেরিটেজ নামাঙ্কিত জান যেন কলকাতাকে আলোকিত করে রাখে, সরকার নতুন করে দৃষ্টি দিক বিক্রির কথা না ভেবে, আজও জনগণ কম পয়সায় এই ট্রামে চড়তে পারে। বালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো, টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো, শ্যামবাজার ট্রাম ডিপো, খিদিরপুর ট্রাম ডিপো সহ বিভিন্ন জায়গায় ট্রাম ডিপকে নতুন সাজিয়ে তোলা হোক, যে সকল ট্রাম নষ্ট হচ্ছে, পড়ে রয়েছে, এইগুলিকে নতুন করে চালানোর ব্যবস্থা হোক। এখন এমন হয়েছে যে সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকলে একটা কি দুটো ট্রাম চোখে পড়ে। জনগণ অভিযোগ তুলেছেন, একের পর এক কলকাতার ঐতিহ্যকে বিক্রি করে নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে। কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে, সেখানে মাল্টি স্টোর বিল্ডিং বানানো হচ্ছে। মল বানানো হচ্ছে, পুরনো জিনিস আস্তে আস্তে লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, এই গুলির দিকে নজর না দিয়ে, সরকার জিনিস ও সেই সকল যন্ত্রপাতি এবং বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করার চেষ্টা করছে, এটা হতে দেওয়া যাবে না, আমরা তাই প্রতিবাদ জানাচ্ছি, অবিলম্বে ট্রামগুলির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করুক, কলকাতা মহানগরীকে আবার নতুন করে সাজিয়ে তুলুক, পুনরায় আগের মত ট্রামের যাত্রা শুরু হোক। এটাই আমাদের দাবী, বন্ধ হোক অরাজকতা,