কুয়াকাটা থেকে তানভীন।।
পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। ফলে স্থবির হওয়া ব্যবসা বাণিজ্যে গতি ফিরতে শুরু করছে।শীতের শুরুতেই পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
শুক্রবার (০১ নভেম্বর) ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং শ্যামাপূজা বা কালীপূজার ছুটি থাকায়, কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে আশেপাশের এক কি.মি. জায়গা জুড়ে পর্যটকদের হৈ-হুল্লোড়। সমুদ্রের বুকে কেউ ঝাঁপিয়ে পড়ছে কেউ বা আবার দল বেঁধে সাঁতার কাটতে দেখা যায়।
অন্যদিকে হোটেল মোটেলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের আবাসিক হোটেলে বুকিং ভালো আছে। পর্যটকদের উপস্থিতিতে স্বস্তি ফিরছে। তাদের আশা এমন পর্যটকদের আনাগোনা থাকলে সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে খুব শীঘ্রই।
ভাসমান চা বিক্রেতা মো. সোবাহান বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে চোখে পড়ার মত পর্যটক কুয়াকাটায় আসছে। বেচা বিক্রি বাড়তে শুরু করছে।
ক্যামেরাম্যান আলমাছ বলেন, গত সপ্তাহ থেকে মোটামুটি পর্যটক আসতে শুরু হয়েছে। আজ ভালোই পর্যটক বাড়ছে। আমরা আমাদের সংকট কাটাতে পারব।
খাবার রেস্তোরাঁর সেলিম মিয়া বলেন, বেচা কিনি নেই গত দেড় মাস ধরে। এখন পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে। আশা করছি স্বরূপে ফিরবে ব্যবসা বাণিজ্য।
ঢাকার বাসিন্দা ও পর্যটক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা সাতজন বন্ধু মিলে এই প্রথম কুয়াকাটায় আসলাম, সবই মোটামুটি ভালো লেগেছে। তবে কলাপাড়া আর কুয়াকাটার মাঝখানের ১০-১২ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। এটা জরুরি মেরামত করা দরকার। এই রাস্তার কারণে একবার যে আসবে তারা পরবর্তীতে আর আসবে না। রাস্তাটি মেরামত করা খুবই জরুরি। কারণ সামনে পর্যটন মৌসুম।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোতালেব শরীফ বলেন, কুয়াকাটায় পর্যটক বাড়তে শুরু করছে। সংকট কেটে যাচ্ছে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঠিক হচ্ছে তার সঙ্গে পর্যটকের আগমন ঘটেছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওনের পুলিশ সুপার একে আজাদ বলেন, আমরা সম্পূর্ণভাবে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুত। দেশে চলমান অস্থিরতা কেটে যাওয়ার ফলে পর্যটক বাড়ছে কুয়াকাটায়। তাদের নিরাপদ ভ্রমণে যা করা দরকার সব করা হবে। আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদার করেছি।