বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, আমরা বর্তমান হাতের জোরের সরকারকে মানি না। এই সরকার অবৈধ।
আপনারা চায়ের দাওয়াত দেবেন আবার চাইনিজ কুড়াল, রাইফেল দিয়ে মানুষ মারবেন সেটা হবে না। ভালো চাইলে অবিলম্বে পদত্যাগ করে ক্ষমতা ছাড়েন নাহলে শ্রীলংকার মতো গায়ের গেঞ্জি থাকবে না।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, তার সহধর্মিণী শামীমা বরকত ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়ালসহ সংশ্লিষ্ট নেতাদের ওপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আমাদের ঘনিষ্ঠ নেতা বরকত উল্লাহ বুলু কখনো স্বৈরচার সরকারের কাছে মাথানত করেননি। আজকে তার ওপর হামলা করা হয়েছে, যা অত্যন্ত পরিকল্পিত ও ন্যক্কারজনক। আসলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, দুর্ভাগা দেশ, দুর্ভাগা দেশের মানুষ। রাতের আঁধারে ব্যালটে সিল মেরে ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। সরকারের সীমাহীন লুটপাট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আজকে বিএনপির আহ্বানে সারাদেশে লাখ লাখ মানুষ জেগে উঠেছে। তারা সরকারের গর্জনকে ভয় পায় না। এই ভোট ডাকাত, ব্যাংক ডাকাত ও লুটেরা সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ ঐক্যবদ্ধ।
তিনি বলেন, এখন আমাদের দাবি একটাই। অবিলম্বে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি, তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার ও দেশে ফিরতে দিতে হবে। এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আঘাত আসবে কিন্তু আমরা রাজপথ ছাড়বো না। প্রয়োজনে পাল্টা আঘাতের প্রস্তুতি নিতে হবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরই যেভাবে অন্যায় দুর্নীতি শুরু করেছে তাতে দেশের মানুষ এখন অতিষ্ঠ। তারা চায় ক্ষমতার সুষ্ঠু পরিবর্তন। দেশে যখন গণতান্ত্রিক আন্দোলন জোরদার হচ্ছে তখন বিরোধী দলের কর্মসূচিতে ও নেতাদের ওপর অমানবিক হামলা করা হচ্ছে। তবে হামলা মামলা দিয়ে বিএনপি তথা জাতীয়তাবাদী দলকে দমানো যাবে না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়েই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে ও মঞ্জুর হোসেন ভুঁইয়ার পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষক দলের সাবেক নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট, বর্তমান যুগ্ম সম্পাদক রকিবুল ইসলাম রিপন, জিয়া নাগরিক ফোরামের মিয়া মো. আনোয়ার প্রমুখ।