স্টাফ রিপোর্টার ঃ
খানসামার মধ্য সুবর্ণখুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপজেলা প্রাথমিক তদন্তকারী কর্মকর্তার সামনে প্রধান শিক্ষিকাকে হেনস্তার সংবাদ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে মধ্য সুবর্ণখুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক রাখাল চন্দ্র রায় ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি ও স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেন। সেই শিক্ষার্থীদের অভিভাবক বিদ্যালয়ে আসলে শিক্ষক রাখাল চন্দ্র তাদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখান। এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা লম্পট শিক্ষক রাখাল চন্দ্রের বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অভিযোগ দিলে বিদ্যালয়ের দপ্তরী তরিকুলের সহযোগিতায় লম্পট সহকারি শিক্ষক রাখাল চন্দ্র ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মিথ্যাভাবে নানান অনিয়মের অভিযোগ দেন এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে মোটা অংকের টাকা দেন।
পরে ঘটনায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করে দিলে তারা বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় তদন্ত করতে আসলে তাদের উপস্থিতির কথা টের পেয়ে তারা স্থানীয় ভাড়াটিয়া লোকজন এবং পাশ্ববর্তী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমজান আলী গোবিন্দপুর রায়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম খলিল উত্তর সুবর্ণ খুলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ পশ্চিম গোবিন্দপুর আত্রাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,প্রধান শিক্ষক সুলতানা জামান সেন্টারডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকরা তাদের নিজ বিদ্যালয় ছেড়ে বেআইনি ও নিয়মবর্হিরভূতভাবে এসে প্রধান শিক্ষিকাকে হেনস্থা করেন এবং প্রধান শিক্ষিকা একপর্যায়ে নিজের জীবন রক্ষার্থে বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে ঢুকেন। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হুমায়ন কবির তালুকদার বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।