নগর সংবাদ।।বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে যে আইনি জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে, সে জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী নয় বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর যৌথ সভায় তিনি এ কথা বলেন৷
ওবায়দুল কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দেওয়া মামলায় খালেদা জিয়ার শাস্তি হয়েছে।
তিনি বলেন, হাওয়া ভবনের নির্দেশে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল তাদের নেতার পৃষ্ঠপোষকতায়। জিয়ার সম্মতি ছাড়া এটি সম্ভব ছিল না। অথচ আওয়ামী লীগতো ষড়যন্ত্র করেনি।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতিতে অলঙ্ঘনীয় দেওয়াল বিএনপি সৃষ্টি করেছে। বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দণ্ড স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে জেলের বাইরে এনে বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেছেন। শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা সত্ত্বেও তাকে (খালেদা জিয়া) সর্বোচ্চ মানবিকতা দিয়ে বাসায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ওপর ভর করে মারামারি, হানাহানি সৃষ্টি করেছে। বিএনপি ঘোমটা পরে প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করছে।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে উপস্থিতি সর্বোচ্চ ছিল। একজন কমিশনার নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি মূল কথা। এবারের নির্বাচনে রেকর্ড ভোটার উপস্থিতি ছিল। স্থানীয় সরকার নির্বাচন এ দেশে কখনও শান্তিপূর্ণ হয়নি।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, গণপরিবহনে হাফ ভাড়া আগে থেকেই কার্যকর ছিল। মাঝে শিথিলতা দেখা গেছে। সরকার বিআরটিসি বাসে ছাত্র-ছাত্রীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিত করেছে।
সভায় বিজয় দিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় র্যালি হবে। ভারতের রাষ্ট্রপতি ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, আলোকসজ্জাসহ মাসব্যাপী কর্মসূচি থাকবে। সহযোগী সংগঠন আওয়ামী লীগের কর্মসূচির সঙ্গে মিলে নিজস্ব কর্মসূচি নেবে। ব্যানার ফেস্টুন যাতে শুধু আত্মপ্রচারের জন্য না হয়। দলের নামে পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড করেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন ও আফজাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ প্রমুখ।