গাজীপুরে পরিবেশের ক্ষতিসাধন ও পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই প্রতিষ্ঠান চালানোর দায়ে রিসোর্ট, হোটেলসহ ৭টি প্রতিষ্ঠানকে ২ কোটি ৯২ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে ‘ভাওয়াল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা সেন্টার’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ছাড়পত্র না নেওয়া পর্যন্ত সাতটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নয়ন মিয়া। পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরে বনাঞ্চলের জমির দখল করে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছিল এসব প্রতিষ্ঠান। এগুলো বিভিন্নভাবে পরিবেশের ক্ষতি সাধন করছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়াপত্রও নেই। জেলাটির প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার্থে ‘মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইং’ কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ওই কমিটি দুই মাস ধরে জেলার সাতটি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে নানা অনিয়মের প্রমাণ পায়। এ ছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানের কোনোটিই পরিবেশগত ছাড়পত্র দেখাতে পারেনি। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা কার্যালয়ে ১৪ মে শুনানি শুনানি হয়। সেখানে প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকার ‘ইউনাইটেড শক্তি লিমিটেড’, শিরিরচালা এলাকার ‘কোয়ালিটি ইন্টিগ্রেটেড অ্যাগ্রো লিমিটেড’ ও একই এলাকার ‘মেঘনা অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড’ নামের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১০ লাখ করে মোট ৩০ লাখ টাকা; ভবানীপুর এলাকার ‘সোয়ান নিট কম্পোজিট লিমিটেড’-কে ১২ লাখ টাকা এবং একই এলাকার ‘হলি কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার’-কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নয়ন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, জরিমানার পাশাপাশি এ আদেশ প্রাপ্তির পর থেকে পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ না করা পর্যন্ত সাতটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।