নগর সংবাদ।।সেলিম মাহবুব, ছাতকঃ ছাতকের উত্তর খুরমা ইউনিয়নে কাঞ্চনপুর গ্রামে জামেয়া ইসলামিয়া রওজাতুল জান্নাত নামে একটি টিনসেড ভবনের মাদরাসা কার্যক্রম শুরু করেন মাও. মহি উদ্দিন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, কাঞ্চনপুর গ্রামের মাওলানা মহি উদ্দিন শেওতরপাড়া (গাংপাড়) গ্রামে আরো একটি মাদরাসা নির্মাণ করতে গেলে গ্রামবাসী তাবলীগ-জামাত বেশধারী কিছু অপরিচিত মানুষের সাথে তার চলাফেরা ও আনাগোনা লক্ষ্য করেন এবং মাদরাসা নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেন। এখানে মাদরাসা নির্মাণ করতে না পেরে কাঞ্চনপুর গ্রামে প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠিত জরাজীর্ণ অবস্থায় টিনসেডের তৈরি মাদরাসা ভবনটি আকস্মিকভাবে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে দো-তলা ভবনে পরিণত করেন। ওই মাদরাসা পরিচালনার ক্ষেত্রে গ্রামের কোনো মানুষের সম্পৃক্ততা নেই। অত্র মাদরাসার কার্যক্রম সম্পর্কেও গ্রামের মানুষের জানা নেই বলে জানান। বহিরাগত ছাত্ররা এ মাদরাসায় পড়ালেখা করে। মাদরাসা পরিচালনা কমিটি কারা এবং মাদরাসার আয়ের উৎস কোথা থেকে আসে এসব রহস্যজনক। মধ্যরাতে মাঝেমধ্যে মোটরসাইকেল যোগে কিছু লোকের আনাগোনা ও যাতায়াত লক্ষ্য করা যায় এখানে। এ নিয়ে এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। মাও. মহি উদ্দিন একটি মসজিদে ইমামতি করেন এছাড়া তার আয়ের আর কোনো উৎস নেই। কোটি টাকা ব্যয়ে কিভাবে তিনি মাদরাসা ভবন নির্মাণ করেছেন তা অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কাঞ্চনপুর গ্রামের জমিল উদ্দিন, হাফিজ নজরুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন, কয়েছ মিয়া, নিজাম উদ্দিন, আসক আলী সহ ৪০ জন স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দেয়া হয়েছে। গ্রামবাসীর অভিযোগের এ বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।##