সবাই ঘুমে থাকা অবস্থায় মাদরাসা থেকে পালানোর চেষ্টায় বহুতল ভবনের পাইপে আটকে পড়ে সবুজ (১৩) নামের এক মাদরাসাছাত্র উদ্ধার
জাতীয় জরুরিসেবা ৯৯৯-এ ফোন করে খবর দিলে ঘটনাস্থলে আসে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
উদ্ধার হওয়া সবুজ সরাইল উপজেলার রাণিদিয়া গ্রামের হাজি শামসুল হকের ছেলে। সে সাঈদ তাহফিজুল কোরআন মাদরাসার নাজেরা শাখার ছাত্র।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন মাস্টার মো. নাজমুল আলম জানান, সাঈদ তাহফিজুল কোরআন মাদরাসা থেকে ৯৯৯ ফোন আসে একজন মাদরাসাছাত্র পাইটে আটকে আছে। তখন উদ্ধারকারী দল নিয়ে ৫ মিনিটে মধ্যে সেখানে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। দীর্ঘ পৌনে ১ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে বেলা ১২টায় ৭তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবনের ৬ষ্ঠ তলার পাইপ লাইনে আটকে থাকা মাদরাসাছাত্রকে উদ্ধার করে আনেন ফায়ার ফাইটার আলমগীর হোসেন।
এ ব্যাপারে ওই মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ বায়েজিদ আহমেদ বলেন, মাদ্রাসায় যখন সব ছাত্র ঘুমিয়ে ছিল তখন সবুজ ৬ষ্ঠ তলার পাইপ বেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু একটা পর্যায়ে গিয়ে সে আর পাইপ বেয়ে নামতে পারেনি। তখন ভবনের বাইরের লোকজন এমন দৃশ্য দেখে মাদরাসায় এসে বিষয়টি জানায়৷ তখন ভবনের ছাদে গিয়ে দেখা মেলে সবুজের পাইপে আটকে থাকার দৃশ্য। দেখা মাত্র ৯৯৯ – এ ফোন দিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে সবুজকে পাইপ লাইন থেকে উদ্ধার করে উপরে তুলে আনে৷
তিনি আরও বলেন, সবুকে উদ্ধারের পর তার পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে বিকাল ৪টায় তার মা আসেন। পুলিশ সদস্যদের সামনে সবুজকে তার মায়ের সঙ্গে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷
এসময় জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মো. শরীফ নেওয়াজ ও ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক নিউটন দাসসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।