ঢাকা প্রতিনিধি।।
বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো. রুহুল আমিনকে খতিবের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়
এতে বলা হয়েছে, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন তার দায়িত্ব পালনকালে মাঝে মাঝে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকতেন। সর্বশেষ গত ১৯ জুলাই, ২, ৯, ১৬ ও ২৩ আগস্ট শুক্রবারের জুমার নামাজে অনুপস্থিত থাকায় গত ২৯ আগস্ট তাকে কারণ দর্শানো হয়। এছাড়া গত ২০ সেপ্টেম্বর জুমার নামাজ পড়াতে তার মসজিদে আগমন এবং খুতবা দেওয়ার চেষ্টাকালে এক অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ তদন্ত কমিটি আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন ও তার অনুগত ছাত্র/বহিরাগত লোকদের দ্বারা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিপ্রেক্ষিতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় সুষ্ঠুভাবে জুমার নামাজ পরিচালনার স্বার্থে তাকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে একজন যোগ্য আলেমকে খতিব হিসেবে নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করে।
এছাড়া, আল্লামা মুফতি রুহুল আমিনের প্রতি সাধারণ মুসল্লিদের অনাস্থা তৈরি হয়েছে এবং ভবিষ্যতে তিনি জুমার নামাজ পড়াতে এলে আবারও হইচই-হট্টগোলসহ অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা থাকায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব পদ থেকে অপসারণের প্রস্তাব যথাযথ কর্তৃপক্ষ অনুমোদন করেন।
এতে আরও বলা হয়, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সুষ্ঠুভাবে জুমার নামাজ পরিচালনার স্বার্থে গোপালগঞ্জের গহরডাঙ্গা মাদরাসা মুহতামিম আল্লামা মুফতি রুহুল আমীনকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব পদ থেকে অপসারণ করা হলো।
প্রসঙ্গত, গত ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার মসজিদে জুমার নামাজ শুরুর আগে বায়তুল মোকাররমের বর্তমান খতিব হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বয়ান করছিলেন। এমন সময় দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকা খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন অনুসারীদের নিয়ে মসজিদে আসেন। এরপর তিনি বর্তমান খতিবের মাইক্রোফোনে হাত দেন। এ সময় বর্তমান খতিবের অনুসারীরা রুহুল আমিনের অনুসারীদের প্রতিরোধ করেন।
তখন দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে খতিব মুফতি রুহুল আমিন নামাজ না পড়িয়ে মসজিদ ত্যাগ করেন।
এ ঘটনায় মসজিদের সাধারণ মুসল্লিরা বিচলিত হয়ে পড়েন। পরে খবর পেয়ে মসজিদে আসেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা ও পরিস্থিতি শান্ত করেন তারা।