বুধবার ৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সন্ধ্যা ৬:১২
শিরোনামঃ
জাপানে জনশক্তি পাঠানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে ১৩টি সমঝোতা চুক্তি। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ডোমারে পুরাতন ভূমি অফিস ভবনের নিলাম অনুষ্ঠিত রাজধানীতে স্ত্রীকে হত্যার পর বস্তায় লাশ ভরে পালিয়ে যান স্বামী আশিক মোল্লা। মেহেরপুরে বিএনপি ২ গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষ -শহর রণক্ষেত্রে পরিণত.। আগারগাঁও প্রগতি সরণিতে”স্বাধীনতা তোরণ”মুক্তি তোরণ’ ২ টি তোরণ উদ্বোধন করেন (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। শারদ উৎসবের পর, ৪৯ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা নিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। টেকনাফ থেকে মানব পাচারকারী সদস্য গ্রেফতার -নারী, শিশু সহ ২৫ জনকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে “বিএনপি”। সিদ্ধিরগঞ্জে প্রতিবন্ধীদের মাঝে চাল বিতরণকরলো আধাঁরে আলো প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থা চৌহালীতে দুই হোটেল ব্যবসায়ীর জরিমানা

জুলাইয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী ছাত্রদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে -পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী আক্রমণাত্মক ভূমিকায়,(ওএইচসিএইচআর)

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি, ১৪, ২০২৫, ২:৪০ পূর্বাহ্ণ
  • ১১০ ০৯ বার দেখা হয়েছে

 

জুলাইয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী ছাত্রদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে -পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী আক্রমণাত্মক ভূমিকায়,(ওএইচসিএইচআর)

ঢাকা প্রতিনিধি।।

গত বছরের জুলাইয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী ছাত্রদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উসকানি দেওয়ার পাশাপাশি তাদের সংগঠিত করা হয়। কাজটি করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা।সঙ্গে ছিলেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) তথ্যানুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি বুধবার প্রকাশিত হয়।

এই প্রতিবেদনের ‘আন্দোলন ঠেকাতে ছাত্রলীগ-পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন’— অংশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগ সভাপতিকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় ছাত্রলীগকে ব্যবহার করার অভিযোগের বিষয়টি উঠে আসে। এর সঙ্গে পুলিশের আরও বেশি আক্রমণাত্মক ভূমিকায় যাওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে।

এতে বলা হয়, ১৪ জুলাইয়ের পরবর্তী দুই দিন ধরে এই হামলা অব্যাহত ছিল। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন। ওএইচসিআর জানতে পারে, আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগের হাত থেকে নিজেদের রক্ষার কাজটিও চালিয়ে যেতে থাকেন। এক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা ছিল নির্বিকার।

এক নেতা ওএইচসিএইচআরকে বলেন, ‘আমাদের (আওয়ামী লীগের) সাধারণ সম্পাদকের আহ্বানে মাঠে নেমে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ঠেকানোর কথা ছিল ছাত্রলীগ কর্মীদের। কিন্তু যা ঘটে তা অপ্রত্যাশিত ছিল, শিক্ষার্থীরা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ’ছাত্রলীগ এককভাবে ক্রমবর্ধমান আন্দোলন দমন করার জন্য পর্যাপ্ত শক্তি অর্জনে ব্যর্থ হলে পুলিশ আরও বেশি আক্রমণাত্মক ভূমিকা নেয়। ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে পুলিশ কম ক্ষতিকর অস্ত্র যেমন টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করলেও কিছু ক্ষেত্রে প্রাণঘাতী ধাতব গুলিভর্তি বন্দুক ব্যবহার করে।

অন্যদিকে, সশস্ত্র আওয়ামী লীগ সমর্থকেরা পুলিশের সহায়তায় হামলা চালায়। এসব হামলায় ১৬ জুলাই অন্তত ছয়জন নিহত হন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। তার হত্যার ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে আরও বেশি শিক্ষার্থী, বিশেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যোগ দেন।ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতা শুরু হওয়ার আগে থেকেই সরকার আরও সামরিক কৌশল ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পুলিশকে সহায়তা করতে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়, যারা সামরিক অস্ত্রে সজ্জিত ছিল।সাবেক এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলছিলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনে করতেন, “যদি আমরা আমাদের ‘হেভি ইউনিট’ মোতায়েন করি, তাহলে কেবল ‘জিহাদিরাই’ রাস্তায় থাকবে, আর অন্যরা বাড়ি ফিরে যাবে। ”

১০ জুলাই থেকে দেশব্যাপী পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব মোতায়েন করা হয়। আন্দোলন চলাকালীন, র‍্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়ন সক্রিয় ছিল। ১৫ জুলাই থেকে আনসার ও ভিডিপির অন্তত ১৪টি ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করা হয়। ১৬ জুলাই থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়, যারা ৫৮টি স্থানে প্রায় চার হাজার সদস্য পাঠায়।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিভিন্ন অভিযানে সহায়তা করতে একই দিনে ছয়টি সশস্ত্র পুলিশ ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করা হয়। তারা শটগান ও রাইফেল ব্যবহার করে। ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) প্রায় ১১০ জন কর্মকর্তা ও ৯০০ মাঠকর্মীকে তথ্য সংগ্রহের জন্য পাঠায়, অন্যদিকে ১৪০ জন কর্মকর্তা ও এক হাজার কর্মী গোয়েন্দা তথ্য পরিচালনা ও বিতরণের দায়িত্বে ছিলেন।

১৭ জুলাই র‍্যাব ও বিজিবি পুলিশের সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বড় ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কঠোরভাবে দমন করা হয়। কিন্তু এর ফলে বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়ে ওঠে।

নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কার্যক্রম সমন্বয় করতে, তাদের নির্দেশনা দিতে, অভিযানের পরিকল্পনা করতে এবং বিক্ষোভ পর্যবেক্ষণ ও দমনের প্রচেষ্টা চালাতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘কোর কমিটি’ নামে একটি সংস্থার নিয়মিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করতেন, যা তার বাসভবনে অনুষ্ঠিত হতো।এতে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিজিবি, র‍্যাব ও আনসার-ভিডিপির প্রধান, গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনাররা উপস্থিত থাকতেন। ২০ জুলাই থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ জেনারেলও থাকতেন।

শেখ হাসিনা ও তার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে সশরীরে ও টেলিফোনে শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতেন এবং তাদের কার্যক্রম সরাসরি তদারকি করতেন, যা সাবেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার এবং ওএইচসিএইচআরকে সরবরাহ করা কললিস্ট থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell