নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে টাকার জন্য গৃহবধূর শরীরে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক আছেন।
শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুজাহিদপুর গ্রামের উজির আলী জমাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধ গৃহবধূকে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গৃহবধূ বলেন, পাঁচ বছর আগে মুজাহিদপুর গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মো. রাসেলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে আমার বিয়ে হয়। আমাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান আছে। বিয়ের পর থেকে রাসেল বিভিন্ন সময় যৌতুকের টাকার জন্য ঝগড়া করতেন। কিছু দিন আগে তিনি অটোরিকশাটি বিক্রি করে দেন।
ভুক্তভোগী নারী আরও বলেন, ৬ নভেম্বর নতুন অটোরিকশা কিনতে দুই লাখ টাকা আমার বাবাবাড়ি থেকে এনে দিতে বলেন রাসেল। শনিবার দুপুরের দিকে তিনি আমার কাছে টাকা চেয়ে ঘরের জিনিসপত্র ভাঙতে চেষ্টা করে। ওই সময় আমি বাধা দিলে শ্বশুর-শাশুড়ির উপস্থিতিতে রাসেল আমার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে স্বামী রাসেলসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন গাঢাকা দিয়েছেন। অভিযুক্তদের ফোনও বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জাগো নিউজকে বলেন, তৈল জাতীয় পদার্থ দিয়ে শরীরে আগুন দেওয়া হয়েছে। তার শরীরের কয়েকটি জায়গায় পুড়ে ফোস্কা হয়ে গেছে। হাসপাতালে ভর্তি রেখে তার চিকিৎসা চলছে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।