মাহবুব আলমঃ আজ বুধবার ভোট গণনায় উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে তিনি ম্যাজিক নম্বর ২৭০ পার করে ফেলেছেন। আর এর মাধ্যমে ট্রাম্পের দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হওয়া নিশ্চিত হলো। এবারের নির্বচানি প্রচারণায় ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ স্লোগান ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। পুরো আমেরিকা জুড়ে ডানপন্থী ও বামপন্থীদের মধ্যে আমি হতাশা দেখতে পেয়েছি একটি বিষয়কে ঘিরে – তা হলো, তারা মনে করেন ইউক্রেনে যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করা হচ্ছে তা যদি আমেরিকার ভেতরে খরচ করা হত তাহলে তা আমেরিকার অর্থনীতিকে অনেক শক্তিশালী করতে পারতো। এই বিষয়টি মাথায় রেখে অনেকেই কমালা হ্যারিসকে ভোট দিতে পারেননি যিনি চার বছর জো বাইডেনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ট্রাম্প তার নির্বাচনি প্রচারণায় রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন, উত্তর কোরিয়ার কিম জং আনের মত কর্তৃত্ববাদী নেতাদের প্রশংসা করেছেন। তার বক্তব্যে তিনি বলেছেন, ‘তারা তাদের ক্ষেত্রের শীর্ষে রয়েছেন, আপনার ভালো লাগুক আর না লাগুক।’ তিনি গণমাধ্যমে তার সমালোচনা বন্ধ করার বিষয়েও কথা বলেছেন। নির্বাচনের কয়েকদিন আগে তিনি এমন মন্তব্যও করেছেন যে গণমাধ্যমের কর্মীরা মারা গেলেও তিনি খুব একটা ব্যথিত হবেন না। তবে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এখন মানুষ হয়তো বাস্তবিক জানতে পারবে যে এতদিন প্রচারণার সময় তিনি যা যা বলেছেন, তার কতটুকু বলার জন্য বলা আর কতটুকু আসলেই তিনি বাস্তবায়ন করতে চান।
প্রথম দফা প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুযোগ পাননি। এবার দ্বিতীয় দফায় তার প্রস্তাবিত অনেক পরিকল্পনাই হয়তো বাস্তবে রূপ দিতে চাইবেন তিনি। আর মনে রাখতে হবে শুধু যে আমেরিকানরাই ট্রাম্পকে দ্বিতীয় দফায় মোকাবেলা করতে যাচ্ছে, তা নয়। বাকি বিশ্বও দেখতে পাবে যে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বলতে তিনি আসলে কী বোঝান। যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিতে ২০% শুল্ক আরোপের প্রস্তাব, ইউক্রেন আর মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বন্ধ করার দাবি সহ ট্রাম্পের দাবি করা বিভিন্ন নীতি কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সেগুলো এখন দেখার বিষয়। যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিতে ২০% শুল্ক আরোপের প্রস্তাব, ইউক্রেন আর মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বন্ধ করার দাবি সহ ট্রাম্পের দাবি করা বিভিন্ন নীতি কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সেগুলো এখন দেখার বিষয়।