শনিবার ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ বিকাল ৩:১৪
শিরোনামঃ
Logo কলকাতার মোহরকুঞ্জে, ৮তম জাতীয় জঙ্গলমহল উৎসব ও জৈব উদ্ভিদ মেলা ২০২৪ Logo ‘দরদ’ সিনেমায় শাকিবের অভিনয়ের প্রশংসা করতে ভুলছে না দর্শক Logo ভা‌লো এক‌টি নির্বাচন উপহার দি‌তে পার‌বেন ব‌লে তিনি আশা ক‌রেন- উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ Logo স্ত্রীর শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপের মামলায় ৩০ বছর কারাভোগ মুক্ত,আয়ের উৎস হিসেবে ভ্যান উপহার  Logo সিলেট জেলার কানাইঘাটে আইসক্রিম বিক্রেতার মরদেহ উদ্ধার Logo জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চৌহালীতে বিএনপি’র জনসমাবেশ Logo বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা Logo আড়াইহাজারে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে বিদেশি পিস্তলসহ ডাকাতকে আটক Logo মা ও মেয়েকে গায়ে এসিড ছুড়ে স্বর্ণের চেইন ছিনতাই Logo চলমান ১৫টি কারখানাও যে কোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৎকালীন তরুণ ছাত্র শেখ মুজিবুর রহমান

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: নভেম্বর, ১৮, ২০২২, ৯:০৩ অপরাহ্ণ
  • ১৮১ ০৯ বার দেখা হয়েছে

       
 
  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৎকালীন তরুণ ছাত্র শেখ মুজিবুর রহমান- প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনবদ্য অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের অর্জিত জ্ঞান, মেধা-মনন ও সৃজনশীলতা প্রয়োগ করবেন। এর মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন (১৯ নভেম্বর) উদযাপন উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবর্তন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব স্নাতক ছাত্র-ছাত্রী, তাদের পিতা-মাতা, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৫৩তম সমাবর্তন উদযাপন করছে জেনে আমি আনন্দিত।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত ভেঙে এ উপমহাদেশে যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার সৃষ্টি হয়, সেই রাষ্ট্রটি বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ আবাসভূমি ছিল না। এ সত্যটি সবার আগে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৎকালীন তরুণ ছাত্র শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি সবার আগে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এরপর কালক্রমে হয়ে ওঠেন বাঙালি জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, বাঙালি ইতিহাসের মহানায়ক ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। তার নেতৃত্বে পরিচালিত বহু আন্দোলনের সাক্ষী হয়ে আছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।

তিনি বলে, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ৬৬ সালে জাতির পিতা ঘোষিত ছয় দফার ভিত্তিতে স্বায়ত্তশাসন আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছিলেন সম্মুখ সারির যোদ্ধা। জাতির পিতার আহ্বানে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী। তাদের অনেকে শহীদ হয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন, অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক সত্তার বিকাশ ও দেশের গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারীরা অগ্রভাগে থেকে অব্যাহতভাবে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত অনন্য দক্ষতায় মনন ও মানবিকতায় অভূতপূর্ব সংশ্লেষ ঘটিয়ে এই মহীরূহ বিদ্যায়তন সমগ্র দেশকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে পরিপুষ্ট করে চলেছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতার দূরদর্শী নির্দেশনায় ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গঠন করা হয়। যার মূল বার্তা ছিলো- বিশ্ববিদ্যালয়ে চিন্তার স্বাধীনতা ও মুক্ত বুদ্ধিচর্চার পরিবেশ সৃষ্টি করা।

আওয়ামী লীগ সরকার সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের বিগত প্রায় ১৪ বছরে নেওয়া বিভিন্ন সময়োপযোগী উদ্যোগের ফলে শিক্ষাখাতে প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। উচ্চশিক্ষার সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বাড়ানো হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রভাব কাটিয়ে শিক্ষার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে আমরা প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছি। আমরা বিশ্বায়ন ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষা কার্যক্রমে আইসিটি এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।

তিনি বলেন, সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসিক সংকট নিরসনে বিভিন্ন হল ও ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে ১৭টি নতুন বিভাগ, ৩টি ইনস্টিটিউট ও ২২টি গবেষণা কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অধিকতর উন্নত গবেষণার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতে যে কোনো সংকট উত্তরণে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা-গবেষণা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিসহ জ্ঞানের সব শাখায় এগিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে আশা করি, জ্ঞান ও আলোর পথের অভিযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নতুন দিগন্ত তৈরি করুক।

এসময় প্রধানমন্ত্রী গৌরবদীপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তনের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell