বুধবার ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ সকাল ১০:৪৮
শিরোনামঃ
Logo সকল সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব উদযাপন করতে পারে, সে বিষয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করছেন-সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান Logo সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ৩নং ওয়ার্ডে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও মতবিনিময় করলেন সাদরিল Logo সিরাজগঞ্জ চৌহালীর দক্ষিণ অঞ্চল সেতুর অভাবে অচল Logo কলকাতা সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে, গ্রীন এনার্জি রিসাইক্লিং এবং এ আই , নিয়ে একটি সেমিনার করেন। Logo বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে নিখোঁজ স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার Logo অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের চার সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার Logo নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে যাত্রীবাহী বাস উল্টে এক যাত্রীর মৃত্যু Logo বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা মাহমুদুল হাসানকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) Logo রাঙ্গুনিয়া পোমরা ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠিত Logo শিবচরে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে

তিন সন্তানের জিম্মায় মাকে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর, ১০, ২০২১, ১০:০০ অপরাহ্ণ
  • ১৬৪ ০৯ বার দেখা হয়েছে

       
 
  

নগর সংবাদ।।গর্ভধারিণী মা তার সন্তানদের কাছে থাকবেন এটাই জগতের নিয়ম। কিন্তু মাকে ‘বন্দি’ করে নিজের হেফাজতে রাখা বড় ছেলের কাছে তাকে রাখা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন দেশের উচ্চ আদালত। পাশাপাশি তাকে অন্য তিন সন্তানের জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মিরপুরে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে বৃদ্ধা মাকে আটকে রাখা ও চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে অন্য তিন সন্তানের জিম্মায় মাকে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

চার সন্তানের মা আছিয়া আক্তার। থাকেন বড় ছেলের কাছে। তবে অন্য সন্তানদের দাবি, বড় ছেলে আটকে রেখেছিলেন তাদের মাকে ও তার সঙ্গে অন্য ভাই-বোনদের দেখা করার সুযোগ দিচ্ছিলেন না বড় ভাই। এরপর ভাইবোনদের করা আবেদন শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ওই মাকে বড় ছেলের কাছে (আছিয়া আক্তার) কেন আটকে রাখা হয়েছে তা জানতে চেয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রুল জারি করেছিলেন। একই সঙ্গে তাকে সঙ্গে নিয়ে বড় ছেলে রবিউল মোর্শেদ মিলনকে ২৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে সশরীরে উপস্থিত হয়ে মাকে আটকে রাখার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল।

আদেশের কপি হাতে পাওয়ার পরও গত ২৬ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত দিনে বৃদ্ধা মাকে নিয়ে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ওই দিন বড় ছেলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

রুলে রবিউল মোর্শেদ মিলনের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি রাজধানীর মিরপুরের আরামবাগে বড় ছেলের বাসায় গৃহবন্দি বৃদ্ধা আছিয়া আক্তারকে আদালতে উপস্থিত করতে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেওয়া হয়। পল্লবী থানার ওসিকে গত ২০ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টায় ওই বৃদ্ধা মাকে আদালতে হাজির করতে বলা হয়। তারপরও তিনি পুলিশকে সহযোগিতা করেননি ও মাকে নিয়ে আদালতে উপস্থিত হননি।

রায়ের বিষয়টি শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর)। নিশ্চিত করেন রিট আবেদনকারী ভাইবোনদের আইনজীবী ব্যারিস্টার তৌফিক ইমাম।

মাকে আটকে রাখার ঘটনায় প্রতিকার ও দেখভালের অনুমতি দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে এক ভাই ও দুই বোনের করা রিট আবেদনের জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইমাম (টিপু)। শুনানিতে তাকে সহায়তা করেন ব্যারিস্টার গালিব আমিদ। এসময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল (এম আর) চৌধুরী। আর বড় ভাইয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী পারভেজ হোসেন। এর আগে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের একই বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দিয়েছিলেন।

ব্যারিস্টার তৌফিক ইমাম টিপু বলেন, মিরপুরে এক বৃদ্ধা মাকে গৃহবন্দি করে রাখার অভিযোগে তার তিন ছেলেমেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেছিলেন। গত ১২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ দীর্ঘ শুনানি নিয়ে মাকে এককভাবে আটকে রাখা ও অন্য ছেলেমেয়েদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ না দেওয়া এবং কেন অবৈধভাবে আটক রাখা হয়েছে- তা জানতে চেয়ে আটকে রাখা বড় ছেলে ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন। একই সঙ্গে বড় ছেলেকে ২৬ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় মাকে সঙ্গে নিয়ে সশরীরে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন। কিন্তু নির্ধারিত দিনে তিনি মাকে নিয়ে হাজির হননি।

পরে আদালত হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, আদেশের কপি পাঠানোর পরে নিয়ম অনুযায়ী সেটি গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু মাকে নিয়ে আদালতে হাজির হওয়ার বিষয়ে আদেশ প্রতিপালন করা হয়নি। অর্থাৎ মাকে নিয়ে বড় ছেলে আদালতে উপস্থিত হননি। এরপর বড় ছেলে রবিউলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে পল্লবী থানার ওসিকে ২০ অক্টোবর ওই বৃদ্ধা মাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন আদালত। তারই ধারাবাহিকতায় বিষয়টি নিয়ে শুনানি হয়।

মিরপুর আরামবাগ এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধা আছিয়া আক্তারের চার সন্তান। তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জননী। ২০১১ সালের ২৭ মে ছোট ছেলে রাফসান মোর্শেদের বাসা থেকে তার বড় ছেলে মাকে নিজের হেফাজতে নিয়ে যান এবং অন্য সন্তানদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে গৃহবন্দি করে রাখেন।

এরপর থেকে তিন ভাইবোনকে তাদের মায়ের সঙ্গে কোনোভাবেই দেখা করতে দেওয়া হয়নি। দেখা করার চেষ্টা করলে বাসার গেট থেকে তাদের বের করে দেওয়া হতো। একপর্যায়ে নিরুপায় হয়ে তারা সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন এবং পুলিশের সহায়তায় দুই বছর আগে শুধু দুবার মায়ের সঙ্গে তারা দেখা করেন।

রিট আবেদনকারীরা জানতে পারেন, তাদের বৃদ্ধা মা অত্যন্ত অসুস্থ ও তাকে পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে না। তারা বিষয়টি পুলিশ ও স্থানীয় গণ্যমান্যদের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে বাধ্য হয়ে হাইকোর্টে রিট করেন মাতৃস্নেহ বঞ্চিত তিন সন্তান। ওই রিটটি চূড়ান্ত শুনানি করে এ রায় দেন আদালত।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell