 
								 
												
লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি কমলেও ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিস্তাপাড়ের হাজারো মানুষ। এরইমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অন্তত ২০০ ঘরবাড়ি। গত ২৪ ঘণ্টায় বিলীন হয়েছে ৬৫টি বসতভিটা ও বিভিন্ন স্থাপনা। হুমকির মুখে রয়েছে বিদ্যালয়, মসজিদ ও মাদরাসা।
সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল ৩টায় তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার (বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচে)।
হাতীবান্ধা উপজেলার উত্তর ডাউয়াবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা জুয়েল মিয়া। তিনি বলেন, ‘তিস্তার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ৭০টি ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। অনেক ঘরবাড়ি ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে।’
চর সিন্দর্না গ্রামের আনোয়ার রহমান বলেন, ‘চোখের সামনে বসতভিটা নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে। আমার এখন মাথাগোঁজার মতো জায়গা নেই। সিন্দুর্না ইউনিয়নের এক ও দুই নম্বর ওয়ার্ড বিলীনের পথে।’
হাতীবান্ধা উপজেলায় ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান বলেন, আমার ইউনিয়নের ছয়টি ওয়ার্ড নদী তীরবর্তী। সব এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। কয়েক দফা পানি বেড়ে অর্ধশত বাড়ি বিলীন হয়েছে।
ভাঙনকবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার। তিনি বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি।
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ এলে তাদের পুনর্বাসন করা হবে। তিস্তার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ রক্ষায় কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
