নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কাউন্সিলের বাকি মাত্র একদিন।
ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক পদেও। দীর্ঘ ১৪ বছর পরে জেলা বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেখানে সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন মাশুকুল ইসলাম রাজীব। সাধারণ সম্পাদক পদের লড়াই করতে গিয়ে রাজিব একের পর এক ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করছেন তৃনমূল।
ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনের জন্য প্রায় দুই বছর ধরে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে চলছিল নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। অবশেষে তা আর হয়নি। এতে দলের তৃণমূলে গভীর হতাশা ও তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাতে সংগঠনে দলাদলি ও ছোট ছোট উপ-গ্রুপের অস্তিত্ব প্রকাশ্যে এসেছে।
আগামী দিনের কঠিন আন্দোলন সংগ্রামে এর প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়বে বলে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের কথায় উঠে এসেছে। এর জন্য দলের একজন শিল্পপতি ভাইস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেটের ষড়যন্ত্র বলে দায়ী করছেন তারা।
ঠিক তেমনি নতুন করে আরো একটি ষড়যন্ত্র যোগ হয়েছে। তা হলো রাজিব প্রয়াত বিএনপি নেতা সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী নাজমুল হুদার জাতীয়তাবাদী ফন্ট নামক একটি সংগঠনের জেলা সদস্য ছিলেন। এই নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ ও প্রকাশিত হয়েছিল। তবে সেটি বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন রাজিব।
নারায়ণগঞ্জে জাতীয়বাদী ফন্টের কোন কমিটি নেই। পুরনো একটি কমিটিতে যা নামমাত্র রাজীবের নাম দেখা যাচ্ছে কিন্তু এই রাজিব সেই রাজীব কিনা তাও কেউ স্পষ্টভাবে বলতে পারেনা। সে যের ধরেই রাজীবকে বিএনপির কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে কারণ দর্শানো নোটিশে উল্লেখ করে বলেন- আপনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট নামে একটি ভূঁইফোড় সংগঠনের সাথে আপনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন বলে আমরা গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন তথ্যসূত্র থেকে জানতে পেরেছি।
দল আরও অবহিত হয়েছে যে, আপনি শুধুমাত্র উক্ত সংগঠনের সাথে যুক্তই হননি, বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি, নানাবিধ অপপ্রচার ও দলবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত আছেন। আপনার এহেন তৎপরতা শুধু সংগঠন বিরোধীই নয়, বর্তমান দুঃসময়ে দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
সুতরাং উল্লিখিত ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতার জন্য কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, সে বিষয়ে কারণ দর্শিয়ে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে একটি লিখিত জবাব দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে দীর্ঘ ১৪ বছর পরে হতে চলা জেলা কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন সাবেক ছাত্রনেতা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব। আর তার বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির এক সদস্যের অনুসারী গোলাম ফারুক খোকন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জেলা বিএনপির যুগ্ম াহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিবকে ঠেকাতে কলকাঠি নাড়ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ওই সদস্য। টার্গেট একটাই রাজিবকে নির্বাচনের ভোটের মাঠ থেকে সরানো। বিনা ভোটে তার অনুসারী সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকনকে একক প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী করতে।
তবে রাজিবকে ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হয়ে ওই নেতা রাজিবের বিরুদ্ধে নতুন ফর্মুলা তৈরি করছেন করে দাবি করছেন একাধিক নেতাকর্মী। তৃনমুল বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি ছাত্র জীবন থেকে যিনি মনেপ্রানে বিএনপিকে ভালোবেসে সে দলের সম্পৃক্ত থেকে রাজনীতি করছে তাকে এখন জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট দলের সদস্য বানিয়ে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।