দুপুরে ভরপেট খাওয়ার পর বিছানায় গা এলিয়ে দেন অনেকেই। যাকে বলা হয় ভাতঘুম। দুপুরের ঘুমের মধ্যে অনেকেই শান্তি খুঁজে পান। তবে এই ঘুম কি শরীরের জন্য আদৌ ভালো?
তাদের মতে, দুপুরের ঘুম দিনের বাকি সময় ভালো কাটাতে সাহায্য করে। আবার অনেকেরই ধারণা, দুপুরের ঘুম শরীরের জন্য খারাপ হতে পারে। আসলে কোনটি সঠিক? বিশেষজ্ঞদের মতে, দুপুরের ঘুম পেশিকে আরও শিথিল করে দিতে পারে।
এ বিষয়ে ভারতীয় আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ঐশ্বর্য্য সন্তোষ জানান, দুপুরের ঘুম মানুষের শরীরে স্নিগ্ধ প্রভাব ফেলে। এটি প্রশান্তি দিলেও এর থেকে নানা ধরনের অসুবিধা দেখা দিতে পারে।
বিশেষ করে খাবার খাওয়ার পরপরই দিনে বা রাতে কখনোই ঘুমানো উচিত নয়। অন্তত শোয়ার ঘণ্টাখানেক আগে হাঁটাচলা করা কিংবা বসে থাকা আবশ্যক বিষয়। না হলে খাবার হজম হবে না। শরীরে দুর্বলতা দেখা দেবে।
তবে শিশুরা দুপুরে ঘুমাতে পারে। আবার যারা অনেক ভোর থেকেই পরিশ্রম করেন শক্তি বাড়ানোর জন্য তারাও ভাতঘুম দিতে পারেন। এছাড়া বয়স্ক মানুষ ও যারা দীর্ঘক্ষণ ভ্রমণ করেছেন এমন মানুষেরা দুপুরে একটু ঘুমিয়ে নিতে পারেন।
এমনকি যারা অসুস্থ, দুর্বল ও কম ওজনে ভুগছেন তারাও দুপুরে ঘুমাতে পারেন। অন্যদিকে যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগী, হজমের সমস্যায় ভুগছেন কিংবা যাদের শরীরে ব্যথা বেশি তারা দুপুরে একেবারেই ঘুমাবেন না।
দুপুরে ঘুমালে অনেকের শরীরে ভারী ভাব, খাবারে অ্যালার্জি, অত্যধিক মাথাব্যথা, নাকে জ্বালাভাব, ক্রনিক রাইনিটিস অথবা পেশিতে টান অনুভব করতে পারেন। তা প্রয়োজন দুপুরের ঘুম এড়িয়ে যাওয়াই শরীরের জন্য ভালো।