তিনি বলেন, ‘দেশটাকে একটা আঘাত করা হবে। সেটা পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য, সামনে নয়। বাংলাদেশে আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে অর্থাৎ সর্বোচ্চ জুন-জুলাই, এর মধ্যে বড় আঘাত আসবে।’
বিএনপি-জামায়াতকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের এ সংসদ সদস্য বলেন, ‘তারা আবার দেশে লাশের রাজত্ব সৃষ্টি করবে। এমনকি তাদের দলের বড় বড় জাতীয় নেতাকে তারাই হত্যা করবে। এগুলো করে তারা ইস্যু সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে। কারণ যেভাবেই হোক তারা নির্বাচন বন্ধ করতে চায়। ওরা জানে নির্বাচন হলে পারবে না। কারণ শেখ হাসিনার ওপর আল্লাহর রহমত আছে। এজন্য ২২ বার হত্যার চেষ্টা করেও কিছুই করতে পারেনি।’
শনিবার (৪ মার্চ) বিকেলে মুজিব শতবর্ষ স্মরণে স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন ও অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। চাষাঢ়া রাইফেল ক্লাবে নারায়ণগঞ্জ ক্রিয়েটিভ গ্র্যাজুয়েট অ্যাসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, ‘আমি নারায়ণগঞ্জে একটি স্লোগান শুনেছি। হরে কৃষ্ণ হরে রাম, শেখ হাসিনার বাবার নাম। আমার মনে হয়, আমি জাতির পিতার সৈনিক হতে পারিনি। আমার হাত পা বাধা। না হলে জনগণের কাছে যদি ভালোভাবে বিচার দেই, জনগণ তাদের কাছে কীভাবে পৌঁছাবে তা আমার জানা নেই। আমরা মাফ করে দিয়েছি। আমরাও কিন্তু মানুষ, রোবট না। আমাকে সারাক্ষণ শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে গালি দেয়, আমি এগুলো গায়ে মাখি না।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা লীগের সভাপতি অধ্যাপক ডা. শিরিন বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম ভূইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু প্রমুখ।