শনিবার ১৯শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বিকাল ৫:১৮
শিরোনামঃ
ফুটপাত অস্থায়ী দোকানি ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের দখলে-বাড়ছে দুর্ঘটনা ঝুঁকিতে জনসাধারন অমর একুশে জুলাই কে সামনে রেখে, মিছিল ও সভা করলেন , বরানগর পৌরসভার, ৭,৮,ও ১০ ওয়ার্ড ভাড়াবাসা থেকে স্কুলশিক্ষকের লাশ উদ্ধার অভিনয়শিল্পী জয়া আহসান অভিনীত ‘ডিয়ার মা’ সিনেমাটি কলকাতার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি কাভার্ডভ্যান-সিএনজি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৪জনই নিহত আমরা প্রতিশ্রুতি দিতে এসেছি-আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জুলাই সনদ স্বচ্ছ ও দৃশ্যমান রাখতে নির্দেশ-প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ন-আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিবের জন্মদিন আজ গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির পদযাত্রা ও সমাবেশে নিয়ে, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ব্যাপক নাশকতা সহিংসতা-কারফিউ জারি গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির উপর হামলা কারীদের গ্রেফতারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম-ইনকিলাব মঞ্চ।

দেশে শিশু ধর্ষন সহ নারী ধর্ষন, ৬ মাসে শিশু,৪৩১”সহ ৬৯৭ মোট ধর্ষিত হয়।

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: আগস্ট, ৫, ২০২১, ১২:১৮ অপরাহ্ণ
  • ৭৬১ ০৯ বার দেখা হয়েছে

নগর সংবাদ।।দেশে শিশু ধর্ষন সহ নারী ধর্ষন, ৬ মাসে শিশু,৪৩১”সহ ৬৯৭ মোট ধর্ষিত হয়- রয়েছে মৃত্যুদণ্ড।

চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী জাকিয়া প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিলো। এসময় প্রতিবেশি সুমন চন্দ্র দাস তার সামনে এসে মুখ চেপে ধরে পাটক্ষেতের ভেতরে নিয়ে যায়। এরপর রশি-গামছা দিয়ে হাত-পা-মুখ বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে। জাকিয়া অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে গভীর রাতে গিয়ে দেখে জাকিয়ার শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে। এসময় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পাটক্ষেতের ভেতরেই গর্ত খুঁড়ে জাকিয়াকে মাটি চাপা দেয় সুমন। ঘটনাটি ১১ জুলাই দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার রসুপুল ইউনিয়নের বনড়া গ্রামের। ছাগল দেখতে বের হয়েছিল পঞ্চম শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রী। ওৎ পেতে থাকা রওশন রায় মেয়েটির পথরোধ করে। পরে আলমগীর হোসেন, উত্তম রায় ও অনাথ রায়সহ রওশন রায় মেয়েটিকে জোরপূর্বক পরিত্যক্ত একটি দোকানের ভেতর নিয়ে যায় এবং চারজন মিলে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৩ জুলাই ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মাধবপুর গ্রামে। ঈদের আগে গৃহবধূ আয়মনা বেগম (৩০) একই এলাকায় তার নানির বাড়িতে বেড়াতে যান। গত ২৪ জুলাই সকালে বাড়ি থেকে সামান্য দূরে একটি বাঁশঝাড়ের ভেতর থেকে হাঁটু গেড়ে থাকা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ সজিনা গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। ঘটনাটি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বরকতপুর ডাঙ্গাপাড়া এলাকার। দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে প্রতিবেশি বখাটে সাব্বির। ধর্ষণের ভিডিও ও ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে পরবর্তীতে ভুক্তভোগীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে সে। ঘটনাটি গত ২৩ জুলাই জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার জোড়খালী ইউনিয়নের বারইপাড়া গ্রামের। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও দেশে নারী ও শিশুর প্রতি ধর্ষণ, হত্যা ও পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে অব্যাহত রয়েছে। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী জাকিয়া, পঞ্চম শ্রেণি অথবা দশম শ্রেণির ছাত্রী কিংবা গৃহবধূ আয়মনা বেগমের মতো দেশে গত জুলাই মাসে শুধু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৬৭ জন। এরমধ্যে ২৮ শিশু ধর্ষণের শিকার, পাঁচজন সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, দু’জন ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে ও ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যার শিকার হয়েছে একজন। এছাড়া চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি থেকে জুন) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৬৯৭ নারী ও কন্যাশিশু। এদের মধ্যে শিশুই ৪৩১ জন। বুধবার (০৪ আগস্ট) বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপপরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়। গত জুলাই মাসে নারী ও কন্যাশিশুর ওপর নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, এ মাসে মোট ১৮১ নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬৭ জন। তাদের মধ্যে ২৮ শিশু ধর্ষণের শিকার, পাঁচজন সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, দু’জন ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে ও ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যার শিকার হয়েছে একজন। এ ছাড়া চার শিশুসহ ৯ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। একজন শ্নীলতাহানির শিকার হয়েছে। এক শিশুসহ পাঁচজন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। অ্যাসিড দগ্ধের শিকার হয়েছে দু’জন। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে একজন। উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছে এক শিশু। উত্ত্যক্তের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছে একজন। পাঁচ শিশুসহ ছয়জন অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছে। নারী ও শিশু পাচারের ঘটনা ঘটেছে সাতটি। বিভিন্ন কারণে পাঁচ শিশুসহ ২৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়াও দু’জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৯ জন, তাদের মধ্যে দু’জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে সাত শিশুসহ মোট ১৩ জন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করেছে তিন শিশুসহ ১০ জন। পাঁচ কন্যাশিশুসহ ১৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাল্যবিয়ে-সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে দুটি। বাল্যবিয়ের চেষ্টা করা হয়েছে একটি। এক কন্যাশিশুসহ সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে ছয়জন। গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এই ছয় মাসে ৪৩১ কন্যা শিশু ধর্ষণসহ মোট ৬৯৭ জন নারী ও কন্যা শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তন্মধ্যে ৪১ জন কন্যা শিশুসহ দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১০৪ জন নারী ও কন্যা শিশু। ১২ কন্যা শিশুসহ ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন ১৬ নারী ও কন্যা শিশু। ৩৪ কন্যা শিশুসহ যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ৪৬ নারী ও কন্যা শিশু। ১২ কন্যা শিশুসহ উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন ২২ নারী ও কন্যা শিশু। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২৯ কন্যা শিশুসহ ৯৯ নারী। হত্যার শিকার হয়েছেন ৬২ কন্যা শিশুসহ ২২১ নারী। বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে ২২ কন্যা শিশু। এইসব ঘটনার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে দায়ী করে আসছেন মানবাধিকার কর্মীরা। তারা বলছেন, এইসব ধর্ষণ বা গণধর্ষণের ঘটনাগুলোর সঙ্গে ক্ষমতাশালীরা জড়িত থাকায় তাদের বিচার হয় না। আবার অনেক সময় পুলিশ এইসব ক্ষমতাশালীদের গ্রেফতারও করে না। কেউ কেউ গ্রেফতার হলেও তারা আবার জামিনে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। ফলে এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে সমাজে খুব ভালো বার্তা যাচ্ছে না। এই কারণে এদের থামানোও যাচ্ছে না। এই অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে অবশ্যই অপরাধ কমে যাবে। গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান যোগ করা হয়। এর ফলে বাংলাদেশে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধর্ষণ, ধর্ষণ জনিত কারণে মৃত্যুর শাস্তি প্রসঙ্গে ৯(১) ধারায় এতদিন ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তবে ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর যদি মৃত্যু হয় বা গণধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর মৃত্যু হয় বা আহত হন, তাহলেই সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছিল। সেই সঙ্গে উভয় ক্ষেত্রেই ন্যূনতম এক লক্ষ টাকা করে অর্থ দণ্ডের বিধান ছিল। সেই আইনে পরিবর্তন এনে ধর্ষণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলেই মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবনের বিধান রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে অর্থদণ্ডের বিধানও থাকছে।
এছাড়া পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে যদি কোনো নারী ধর্ষণের শিকার হন, তাহলে যাদের হেফাজতে থাকাকালীন ওই ধর্ষণ সংঘটিত হয়েছে, তিনি বা তারা প্রত্যেকে হেফাজতের ব্যর্থতার জন্য, সর্বোচ্চ ১০ বছর কিন্তু ন্যূনতম পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell