প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সুনির্দিষ্ট সময়ে বাংলাদেশকে উন্নত করতে সক্ষম হয়েছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেখে গিয়েছিলেন স্বল্পোন্নত দেশ।
২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী, ২০২১ সালে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি। তখনই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পায়। নির্বাচনী ওয়াদা আমরা রক্ষা করি। ’
রোববার (১৬ জুলাই) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অধ্যক্ষ সম্মিলন ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এ সম্মিলনের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি সরকারের টানা ১৪ বছর ধারাবাহিকতার কারণে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। কেবল সরকারের ধারাবাহিকতার জন্য শিক্ষার মান বৃদ্ধি, শিক্ষকদের নানা সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। ’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাকে যখন বন্দিখানায় নিয়ে যাওয়া হয়, তখন আমি সময়টা হেলায় নষ্ট না করে সেখানে বসে দেশের ভাগ্য উন্নয়নের চিন্তা করেছি। সে জন্য শিক্ষা, চিকিৎসা ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কীভাবে কাজ করা যায়, তার জন্য রূপকল্প তৈরি করেছি। দেশকে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়, তার চিন্তা সব সময় আমার মাথায় ঘুরপাক খেত। আর সেই রূপকল্পই আজ ভিশন-২০২১ বাস্তবায়ন হয়েছে। ’
‘দেশের মানুষ শিক্ষিত হোক বিএনপি-জামায়াত চায়নি’ এমন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৮ সালের আগ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে অস্ত্রের ঝনঝনানি ও বোমাবাজি ছিল। বর্তমানে সেই পরিস্থিতি নেই। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। ’
এক-এগারোর সেনাসমর্থিত সরকার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলেছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমাকে বলা হলো, আপনি ইলেকশন (নির্বাচন) করবেন না। আপনাকে প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রাখা হবে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদা কী? এসি রুম, একখানা গাড়ি? এগুলো তো আমি চাই না। ’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এমন নানান প্রলোভনের পরিপ্রেক্ষিতে আমি তাদের বলেছি, আমাকে এসব লোভ দেখিয়ে লাভ নেই। আমার বাবা এ দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। আমিও প্রধানমন্ত্রী ছিলাম। ধন-সম্পদ, বাড়ি-গাড়ির প্রতি আমার কোনো লোভ নেই। আমি এসেছি বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে, নিজের ভাগ্য গড়ার জন্য নয়। ’