দেশ দুর্বার ও অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, এই চলার মূল কারণ হচ্ছে- দেশের সব ধর্মের মানুষ আমরা সবাই মিলেমিশে চলছি। আমরা সবাই সবার সুখে-দুঃখে অংশীদার হচ্ছি।
তিনি বলেন, আমাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির যে স্বপ্ন ছিল, একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গড়া। সেই চেতনার ফসল আমরা যে যেই ধর্মাবলম্বী, সে সেই ধর্মের সবকিছু সুন্দরভাবে পালন করতে পারি। শুধু হিন্দু মুসলিম ধর্ম নয় খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ধর্ম যে যেই ধর্ম বিশ্বাস করে সবাই আমরা মিলেই বাংলাদেশ। আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি এটাই হচ্ছে মূল কথা।
সোমবার (১১ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর বনানী মাঠে গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন আয়োজিত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গতবার বাংলাদেশে ৩০ হাজারের মতো মণ্ডপ হয়েছিল। এ বছর মণ্ডপের সংখ্যা ৩০ হাজার ৫০০-এর গণ্ডি পেরিয়ে গেছে। এতে বোঝায় আমাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, যিনি স্বপ্ন দেখতেন একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ। যেখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই মিলে এই দেশ। আমরা এই দেশের নাগরিক হিসেবে সব সুযোগ-সুবিধা একসঙ্গে ভোগ করবো। আজ সেই জায়গাটিতে তিনি না থাকলেও, যার ধমনিতে তার রক্ত প্রবহমান তিনি দেখিয়েছেন; আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি একের পর এক।
তিনি বলেন, বনানীর এই জায়গায় ১৪ বছর নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে কিন্তু উৎসবে আমরা সবাই আসবো। এটা আজকের সংস্কৃতি নয়, আপনারা যদি হাজার বছরের পেছনে ফিরে তাকান, দেখবেন- আমরা এভাবেই চলছি। আমরা পূজা মণ্ডপের লাড্ডু ভাগাভাগি করে খেয়েছি। ঈদের সময় আমাদের বাড়িতে সবাই আসেন এবং আমরা একসঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিই। বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মের উৎসবেও একই চিত্র দেখা যায়।
গত ১৪ বছর ধরেই বনানীর এই মাঠে দুর্গাপূজার আয়োজন করে আসছে গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন। মাঠে তিনটি প্রবেশ গেট রাখা হয়েছে। এই মণ্ডপে দর্শনার্থী যারাই আসছেন তাদের ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রমুখ।