ধর্ষণের নেশায় আসক্ত রাব্বি,ধর্ষণ মামলায় জামিনে বেরিয়ে আবারও স্কুল পড়ুয়া কিশোরীকে ধর্ষণ
গোলাম রাব্বি।ধর্ষণ যার একমাত্র নেশা।যুব সমাজ ধ্বংসের কারিগর মাদক ব্যবসা তার একমাত্র পেশা।মূলত সাংবাদিকতাকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে
মাদক ব্যবসার প্রসার এবং উঠতি বয়সী তরুণীদের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করাই তার মূল লক্ষ্য।
বরগুনা এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম ও পৌরসভার কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা দম্পতির সন্তান গোলাম রাব্বির আমলনামা এটি।বয়স ত্রিশের
কোটায় পৌঁছার আগেই নারী নির্যাতন,ধর্ষণ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে প্রায় আধা ডজন মামলার প্রধান আসামির তকমা লাগিয়েছেন
তিনি।সরকারি চাকরিজীবী বাবা-মায়ের প্রভাব ও টাকার জোরে বহু অভিযোগ থেকে বিনা বিচারে মুক্তিও পেয়েছেন তিনি,এমন ঘটনাও অজস্র।আর এতেই
দিনদিন আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে রাব্বি।
ধর্ষণ করেই মজা পায় রাব্বি: ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত রাব্বি তার স্ত্রী স্মৃতি আক্তারকে কৌশলে শশুরবাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে গত আগষ্টের ৫ তারিখ
স্ত্রীর বান্ধবীকে কৌশলে বাসায় ডেকে এনে ধর্ষণ করে।ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই কিশোরীকে একইভাবে পরদিনও ধর্ষণ করে রাব্বি।হঠাৎ ঘরে ঢুকে স্ত্রী ওই
কিশোরীসহ স্বামী রাব্বিকে উলঙ্গ অবস্থায় দেখতে পায়।পরে পুলিশে খবর দিলে পালিয়ে যায় রাব্বি।পুলিশ এসে কিশোরীকে উদ্ধার করে এবং একই সময়ে
অভিযান চালিয়ে রাব্বিকে আটক করে।এ ঘটনায় স্কুল পড়ুয়া সংখ্যালঘু ওই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে একই দিন ৬ তারিখ বরগুনা সদর থানায়
গোলাম রাব্বির বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা হয় ।মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর মা।ওই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ
করে।কিন্তু বাবা মায়ের টাকার জোরে জামিনে বের হয়ে যায় রাব্বি।ধর্ষণের নেশায় মাতাল রাব্বি আবারও পুনরাবৃত্তি ঘটায় একই অপরাধের।
এবার তার হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন স্কুল পড়ুয়া আরেক কিশোরী।গতকাল বুধবার রাতে ধর্ষণের অভিযোগে বরগুনা থানায় ধর্ষকের বিচার চেয়ে ধর্ষণ
মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর মা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়,এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভনে মিথ্যা কাবিননামা বানিয়ে মাসের পর মাস ধর্ষণ করেছে রাব্বি।
শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হয়ে বিয়ের জন্য চাপ দিলেই নির্যাতনের পাশাপাশি নেশার ঘোরে বারবার ধর্ষণ করতো ওই কিশোরীকে।সবশেষ গত ২৬ সেপ্টেম্বর
রাব্বি তার বন্ধু মামুনের বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে মেয়েটিকে।এরপর নিজের ভাড়া বাসায় নিয়ে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর উপর চালায় পাশবিক নির্যাতন।
পরে পুলিশ গিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে আর ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে পালিয়ে যায় রাব্বি।
বরগুনার থানার অফিসার ইনচার্জ তারিকুল ইসলাম জানান,ধর্ষণের অভিযোগে গোলাম রাব্বির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা।
পলাতক রাব্বিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।একইভাবে ধর্ষণের অভিযোগে পূর্বেও তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।মাদক মামলাতেও সে জেল খেটেছে।তার বিরুদ্ধে বেশকয়েকটি মামলা রয়েছে।