বুধবার ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ৮:৫৮
শিরোনামঃ
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান ড. ইউনূস। মাদারীপুরে ইউনুসকে পূর্বপরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা-স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। শারদীয় দূর্গাপূজা ৩২ তম বর্ষে পদার্পণ করলো দক্ষিণেশ্বর ঐতিহ্যশালী গীতাঞ্জলি পার্ক আবাসিক কল্যাণ সমিতি। গাজীপুরে ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদের মৃত্যুতে বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান-প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এনায়েতপুরে ২৫ টি বাড়ি যমুনায় বিলীন, হুমকিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহু ঘরবাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দরে স্বামী-স্ত্রী ইয়াবা ও গাঁজা সহ গ্রেফতার নারায়ণগঞ্জেএবার দুর্গাপূজা আয়োজন খুবই ভালো” কোনো ধরনের সমস্যা নেই-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নারায়নগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হসপিটালে চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ- ডাক্তারকে মারধর শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ১৮ নং ওয়াডে বিএনপির পক্ষ থেকে পূজার উপহার চট্টগ্রাম নিজামপুর সরকারি কলেজ এলাকায় ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-আহত ৫

নরসিংদীতে প্রধান শিক্ষককে পেটালেন দপ্তরি-থানায় মামলা দায়ের

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: জুন, ২, ২০২২, ৪:৩১ পূর্বাহ্ণ
  • ৪১১ ০৯ বার দেখা হয়েছে

নরসিংদীতে প্রধান শিক্ষককে পেটালেন দপ্তরি-থানায় মামলা দায়ের

নরসিংদীতে স্কুলে না আসার কারণ জানতে চাওয়ায় প্রধান শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরীর নামে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা।

খবর পেয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্কুল পরিদর্শন করেন। বিষয়টি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় দপ্তরির নামে মাধবদী থানায় মামলা দায়ের করেছেন আলগী মনোহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

এদিকে, শিক্ষককে পেটানোর কথা স্বীকার করেছেন দপ্তরি। তবে এখনও তার নামে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নরসিংদীর সদর উপজেলার ৮৬ নম্বর আলগী মনোহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত আছেন কামরুন নাহার মাহামুদা। একই স্কুলে আউটসোর্সিং দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী হিসেবে নিয়োজিত আছেন মো. শরিফ মিয়া। স্কুল এলাকায় বাড়ি হওয়ার সুবাদে দপ্তরি শরীফ মিয়া নিজের ইচ্ছে মতো স্কুলের ডিউটি করেন। এতে স্কুল পরিচালনায় ব্যাহত হচ্ছিল। একাধিকবার মৌখিকভাবে নোটিশ দেওয়া হলেও তিনি কর্ণপাত করেননি। তাই বাধ্য হয়ে প্রধান শিক্ষিকা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। পরে শিক্ষা কর্মকর্তার পরামর্শে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরীকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে শোকজ করা হয়।

এতে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী শরীফ মিয়া প্রধান শিক্ষকের ওপর ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায়ে স্কুলে প্রধান শিক্ষককে গালিগালাজসহ অশালীন মন্তব্য করেন। এরই মধ্যে গত ১৮ মে মো. শরীফ মিয়া সকাল ৯টার দিকে স্কুলে আসার স্থলে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্কুলে আসেন। ওই সময় প্রধান শিক্ষক তার কাছে দেরিতে স্কুলে আসার কারণ জানতে চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় দপ্তরি। ওই সময় দপ্তরি শরীফ মিয়া প্রধান শিক্ষককে গালিগালাজ শুরু করেন। এর কিছুক্ষণ পর দপ্তরি তার স্ত্রী ও শাশুড়িকে স্কুলে নিয়ে আসে। ওই সময় দপ্তরির স্ত্রী ও শাশুড়ি প্রধান শিক্ষক কামরুন নাহারকে চুল ধরে টেনে-হিঁচড়ে তার রুম থেকে বের করে স্কুলের আঙিনায় নিয়ে আসেন। একপর্যায়ে তাকে আঘাত করেন।

প্রধান শিক্ষিকার ডাক চিৎকারে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে জেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার একদিন পর স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে দপ্তরি, তার স্ত্রী ও শাশুড়ির নামে মাধবদী থানায় মামলা দায়ের করেন।

এদিকে, চুক্তিভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ম্যানেজিং কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. বায়জিদ খান। কিন্তু অদৃশ্য কারণে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরীর নামে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি স্কুল ম্যানেজিং কমিটি।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক কামরুন নাহার মাহামুদা বলেন, দপ্তরি যদি প্রধান শিক্ষকের কথা অমান্য করে, তাহলে স্কুল পরিচালনায় ব্যাহত হয়। সে তার ইচ্ছে মতো স্কুলে আসা যাওয়া করেন। তাই তাকে একাধিকবার শোকজ করা হয়। গত ১৮ মে স্কুলে দেরিতে আসার কারণ জানতে চাইলে, তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালিয়েছেন। তাছাড়া স্কুলের পাশে দপ্তরির বাড়ি। তাই সব সময় তিনি এলাকায় দাপট দেখান।

সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান খান  বলেন, প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার খবর পেয়ে স্কুলে ছুটে যাই। এবং তার সত্যতা পাই। প্রধান শিক্ষক যদি অপরাধও করেন, তাহলে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী স্কুলের কমিটি, উপজেলা শিক্ষা অফিস বা জেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করতে পারেন। কিন্তু কোনো ক্রমেই প্রধান শিক্ষকের ওপর হাত তুলতে পারেন না। তাছাড়া এই দপ্তরিকে চুক্তিভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি শিক্ষা পরিবারেরও কেউ না। এটার বিচার হবে।

প্রধান শিক্ষককে মারধরের কথা স্বীকার করে স্কুলের দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী শরীফ মিয়া বলেন, গত ১৭ মে প্রধান শিক্ষক একটি মিটিংয়ে চলে যান। পরদিন ১৮ মে আমি স্কুল খুলে বাড়িতে যাই। ম্যাডাম এসে আমাকে ডেকে আনেন। তখন তিনি বলছেন- আমি ১৭ মে স্কুলে আসিনি। সে সময় বিষয়টি নিশ্চিত হতে তাকে স্কুলের ছাত্রদের কাছে জানতে বলি। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে তিনি আমার শরীরের ওপর স্ট্যাপলার ছুড়ে মারেন। এই খবর আমার পরিবার শুনে ছুটে আসেন। তখন আমার পরিবারের সঙ্গে ম্যাডামের কথা-কাটাকাটি হয় এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

দপ্তরি আরও বলেন, ম্যাডাম স্কুলের বই বিক্রি করে দেন। আমি যেন এসব না বলি, সে কারণে তিনি আমাকে চাপেও রাখতেন।

এসব ব্যাপারে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফারুক মিয়া বলেন, শিক্ষা অফিসের চিঠি পাওয়ার পর মিটিং কল করা হয়েছিল। ম্যানেজিং কমিটির ১১ সদস্যের মধ্যে দু’জন উপস্থিত হয়েছিলেন, তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell