কোনো সনদ না থাকলেও নিজেকে পরিচয় দিতেন একজন এমবিবিএস ডাক্তার। সেই সঙ্গে নিয় কে মিত (মা ও শিশু, চর্ম ও যৌন) রোগীও দেখতেন। লিখে দিতেন ব্যবস্থাপত্র। অবশেষে তিনি ধরা পড়েছেন। রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করায় তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নারায়ণগঞ্জ শহরের গ্রিন লাইফ ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারে অভিযান চালিয়ে মো. সাইদুল ইসলাম শাহীন নামের ওই ভুয়া চিকিৎসককে এ সাজা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রোববার (১১ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত আরা খানমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়
আদালত সূত্র জানায়, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) এক কর্মকর্তা ছদ্মবেশে গ্রিন লাইফ ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশনে মো. সাইদুল ইসলাম শাহীনের কাছে চিকিৎসা নিতে যান। তিনি গত কয়েকমাস ধরে চিকিৎসা নিতে থাকেন। একইসঙ্গে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখেন। সবশেষ আজ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বুঝতে পারেন তিনি একজন ভুয়া চিকিৎসক।
পরে বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়। সেই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্তকে এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে গ্রিন লাইফ ডায়াগনস্টিক অ্যন্ড কনসালটেশনকে ৫০ হাজার জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুশরাত আরা খানমের পক্ষে প্রসিকিউশন ডা. একেএম মেহেদী হাসান বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত মো. সাইদুল ইসলাম শাহীন নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন। তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে চিকিৎসক নিয়োগে কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় গ্রিন লাইফ ডায়াগনস্টিকের মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।