নগর সংবাদ।।নারায়ণগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। সূর্যদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় দিবসটির শুভ সূচনা। এছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, বেসরকারিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
বিজয়ের প্রথম প্রহরে চাষাড়া নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহর নেতৃত্বে ফুল দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় জেলা প্রশাসন। এরপর একে একে শ্রদ্ধা জানায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলমের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ, সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজের নেতৃত্বে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে জেলা পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার, নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, এলজিইডি, লেডিস ক্লাব সহ নারায়ণগঞ্জের সকল সরকারি অফিস। এছাড়া শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৯টায় পুলিশ, আনসার ভিডিপি, স্কাউটস, গার্লস গাইড, কাবদল ও শিশুকিশোর সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শন করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টায় নারায়ণগঞ্জ জেলার শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সদর উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
দুপুর আড়াইটায় ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে মহিলাদের ক্রীড়া অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল সাড়ে ৩টায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সৌজন্যে সরাসরি সম্প্রচারকৃত শপথ গ্রহণ হয়। বিকাল সাড়ে ৪টায় জেলা প্রশাসন বনাম জেলা ক্রীড়া সয়স্থার প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগীতা হয়েছে।
সন্ধ্যা ৬টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সবেূাত্তম ব্যবহার’ শীর্ষক আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে।
এছাড়াও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদ-আত্মদানকার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে মোনাজাত করা হয়।
অপরদিকে, সকাল ১০টায় নগরীর দুই নং রেল গেট সংলগ্ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ও বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন।
অন্যদিকে একই সময় শহরে বিজয় র্যালি ও শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করে জেলা ও মহানগর বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বিজয় র্যালি ও শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন ও বামপন্থি ছাত্রসংগঠনগুলো।