সোমবার (২১ আগস্ট) নোয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগমের সই করা চিঠিতে এ বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়েছে।
বহিষ্কৃত মো. ওমর ফারুক মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর আক্রাম উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং ওই ইউনিয়নের আক্তার মিয়ারহাট এলাকার বাসিন্দা। নির্যাতিত শিক্ষার্থী ওই বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সহকারী শিক্ষক মো. ওমর ফারুককে সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা আপীল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ১২ (১) অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। এ সময়ে তিনি বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা পাবেন। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান শেষে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেওয়ার সময় সহকারী শিক্ষক মো. ওমর ফারুক একা পেয়ে তৃতীয় শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে জড়িয়ে ধরেন। এ সময় তার স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানিসহ ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে শিক্ষার্থী চিৎকার দিলে তাকে ছেড়ে দিয়ে দ্রুত বিদ্যালয় ত্যাগ করেন শিক্ষক মো. ওমর ফারুক।
বাড়িতে গিয়ে ওই ছাত্রী তার মাকে ঘটনাটি জানালে তিনি বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আলমসহ অন্যান্য শিক্ষকদের জানিয়ে ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেন।
ছাত্রীর বাবা জানান, এ ঘটনার পর থেকে আমার মেয়ে লোকলজ্জায় স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। আর কোনো মেয়ে যাতে এমন জঘন্য ঘটনার শিকার না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। শিক্ষক ওমর ফারুকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আলম বলেন, বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সত্যতা পেয়ে শিক্ষক মো. ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানাই। পরে তিনি ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক মো. ওমর ফারুককে বারবার ফোন করেও মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।