পটুয়াখালী কলাপাড়া মহিলা কলেজের সফল ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনজুরুল আলমের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ।।
মোঃ আলী হোসেন মোল্লা পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর জেলার কলাপাড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কলাপাড়া মহিলা কলেজ অনেক ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে প্রতিষ্ঠা লগ্নের পর থেকে অদ্যবদি পর্যন্ত। ২০২২ সনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল আলম। দায়িত্ব পাওয়ার সাথে সাথেই তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কলাপাড়া মহিলা কলেজে আমুল পরিবর্তন আনতে সক্ষম হন। অমনোযোগী শিক্ষকদের প্রতিদিন মনোযোগী হয়ে ক্লাসে পাঠদান করতে বাধ্য করেন। ছাত্র-ছাত্রীদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে সফলতা অর্জন করে কলাপাড়া মহিলা কলেজের মুখ গৌরব উজ্জ্বল করেছেন। এছাড়া জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ও বঙ্গবন্ধু মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় ২০২২ থেকে ২৩ সাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ছয়, আট, দুই, চার, তিনটি বিষয়ে কলাপাড়ায় উপজেলায় প্রথম স্থান অধিকার করার গৌরব অর্জন করে মনজুরুল আলমের সময়কালটি। এছাড়াও তার যোগদানের পর থেকে অভিভাবকদের সাথে তার নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ও সফল যোগাযোগের ফলে কলেজটির ছাত্রী সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়ে। ২২ মাসের কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করা মিষ্টিভাষী ও কলাপাড়ার সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে তাল মিলিয়ে চলা এই মনজুরুল আলম শিক্ষকতা পেশায় যোগদানের পর থেকেই নিয়মিত মনোযোগী হয়ে প্রতিদিন পাঠদান সম্পন্ন করে যাচ্ছেন। তার পাঠদানের মাধ্যমে বহু শিক্ষার্থী জীবনে বড় বড় স্থানে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এছাড়া মঞ্জুরুল আলমের যোগদানের বছর ২০২২ সালে সমগ্র উপজেলা ভিত্তিক কলেজের রেজাল্টে কলাপাড়া মহিলা কলেজ প্রথম স্থান অধিকার করে। এদিকে ১৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে সহকারী পরিচালক তপন কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক নোটিশে দশ কার্যদিবসের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদকে দায়িত্ব প্রদান করার জন্য গভর্নিং বডির প্রতি নির্দেশ প্রদান করেছেন। এ বিষয়ে পরবর্তীতে গভর্নিং বডি কি করবেন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে সুপারিশ কৃত শিক্ষক মোঃ আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে কলেজ অভ্যন্তরে অসাদাচরণের দায়ে গত ৮ নভেম্বর ২০১১ তারিখে ৬৬ নং গভর্নিং বডির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। পরবর্তীতে চার বছর পরে তিনি ভুল স্বীকার করায় উক্ত মেয়াদকালের কোনো বেতন না নেয়ার শর্তে ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে ৮৭ নং সভায় তাকে চাকরিতে পূর্ণবহাল করেন কলাপাড়া মহিলা কলেজ গভর্নিং বডি। তার পাশাপাশি গভর্নিং বডি ক্লাস ফাঁকি দিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে চায়ের দোকান কিন্বা অন্যত্র আড্ডা দেওয়া ছাড়াও নিয়মিত ধূমপান করে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করার কারণে ছাত্রীদের অভিযোগে তাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করেন কলেজ গভর্ণিং বোর্ড। কলাপাড়া মহিলা কলেজের সাম্প্রতিক কালে নতুন কাউকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সুপারিশের ভালোমন্দ বিষয়টি নিয়ে কলাপাড়ায় জনসাধারণের মুখে কথার ফুলজুরিতে আলোচনা ও সমালোচনা শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে সুপারিশ কৃত শিক্ষক মোঃ আবুল কালাম আজাদের মুঠোফোনে এই প্রতিবেদক যোগাযোগ করলে তিনি চার বছরের সাময়িক বহিষ্কারাদেশের কথা স্বীকার করেন। এছাড়া ক্লাস ফাঁকি দিয়ে টিস্টলে আড্ডা দেওয়া ও ধূমপান করে শ্রেণিকক্ষে পাঠ দান করার বিষয়টি অস্বীকার করেন। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনজুরুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯ ধারা-৪ মোতাবেক আমাকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। অ্যাডহক কমিটি থাকায় অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রদান করা সম্ভবপর হয় নাই। অ্যাডহব কমিটির মেয়াদ ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে । আমি ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইংরেজি তারিখ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক স্যারের সাথে সশরীরে দেখা করি । তখন মহাপরিচালক স্যার আরো অনেক সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বলেছেন যেহেতু কলাপাড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজ একটি বেসরকারি কলেজ তাই এর সকল দায় দায়িত্ব কলেজ গভর্নিং বডির।তিনি তাৎক্ষণিক ফোন করে উপপরিচালক বেসরকারি জনাব হাবিবুর রহমান স্যারকে বলে দিয়েছেন কলাপাড়া মহিলা ডিগ্রী কলেজ একটি বেসরকারি কলেজ এর সকল দায়-দায়িত্ব কলেজ গভর্নিং বডির। এ বিষয়ে কলেজটির সহকারী অধ্যাপক পুলিন চন্দ্র হাওলাদার বলেন, সহকারি অধ্যক্ষ মনজুরুল আলমের দায়িত্ব পালন করার সময় কলেজের সকল কিছুতে পজিটিভ রেজাল্ট বয়ে এনেছেন। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়িয়েছেন বহুগুণে। অপরদিকে অপর শিক্ষক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ কলেজটির সাবেক অধ্যক্ষ সৈয়দ নাসিরের সাথে প্রকাশ্যে দুর্ব্যবহার করেন যে বিষয়টি আমি রেজুলিউশনের বহির মাধ্যমে জানতে পারি।