নগর সংবাদ।।নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পবিত্র ঈদ এ মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ৪৭ তম জশনে জুলুস উদ্যাপিত হয়েছে।
প্রতি বছরের মতো এবারও ৯ রবিউল আউয়াল রবিবার সকাল ১০ টায় বন্দরের মদনগঞ্জ বটতলা থেকে জশনে জুলুস শোভাযাত্রা শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কদমরসূল দরগাহ শরীফে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়।
শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন এবং আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী আল আবেদী। সভাপতিত্ব করেন ঈদ এ মিলাদুন্নবী (সা.) উদ্যাপন কমিটির সভাপতি মোবারক হোসেন কমল খান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পীরজাদা সৈয়দ মাহমুদ শাহ মোজাদ্দেদী আল আবেদী।
এর আগে রবিবার সকাল থেকে হাজার হাজার আশেকে রাসুল ধর্মপ্রাণ মানুষ মদনগঞ্জ বটতলায় ব্যানার, ফেস্টুন, মাইক নিয়ে জড়ো হয়ে জশনে জুলুস আনন্দ র্যালিতে যোগদান করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- জশনে জুলুস উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাজি আসাবুদ্দিন আশু, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর, ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান, উদ্যাপন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুর রহমান কমল, শরীফ হাসান চিশতি প্রমুখ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা বাহাদুর শাহ বলেন, ঈদ এ মিলাদুন্নবী (সা.) এ বছর থেকে সারা দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হচ্ছে। গত মার্চে এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাই।
তিনি বলেন, নবী (সা.) সমগ্র সৃষ্টির জন্য রহমত, সেই নবীর আগমনে আনন্দ করার নির্দেশ স্বয়ং আল্লাহপাক দিয়েছেন। আমরা নবীর আশেকরা তা পালন করি। আর আশেকে রাসুল (সা.) তথা সুন্নি মুসলমানরা কখনো সন্ত্রাস পছন্দ করে না। অন্য ধর্মের ওপর হামলা করে না। যারা ইসলামের নামে লেবাস ধরে থাকে, সেই উগ্রপন্থীরাই এসব করে। প্রকৃত মুসলমান কখনো বোমা মারতে পারে না, মানুষ হত্যা করতে পারে না।