নগর সংবাদ।।পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট এম মতিউর রহমানকে মারধর ও তার ব্যবহৃত সরকারী গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় ২ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ৮জনকে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট এম মতিউর রহমান বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে ইন্দুরকানী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সজীব হাওলাদার এবং যুবলীগ সদস্য মামুনকে নামীয় এবং অজ্ঞাত ৮ জনকে আসামী করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. এনামুল হক।
সজীব উপজেলার চারাখালী গ্রামের মৃত আলম হাওলাদারের ছেলে এবং উপজেলা ছাত্রলীগের ২০১৯-২০ সালের সাবেক সদস্য ও বর্তমানে জাতীয় পার্টির (জেপি) অনুসারী বলে জানা গেছে। এদিকে এ্যাডভোকেট এম মতিউর রহমানের ওপর হামলার প্রতিবাদে জেলা আইনজীবী সমিতি এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে। বুধবার (২ মার্চ) সকালে সাড়ে ১০ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘন্টা ব্যাপি এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির আহবায়ক এ্যাডভোকেট হাকিম হাওলাদারের সভাপতিত্ত্বে এ প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন,
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খান মো. আলাউদ্দিন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি চন্ডী চরন পাল, নারী ও শিশু পিপি আব্দুর রাজ্জাক খান বাদশা, কানাই লাল বিশ্বাস, দেলোয়ার হোসেন, মোস্তফা কামাল, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার মাঝি প্রমুখ। হামলার বিষয়ে অ্যাডভোকেট এম মতিউর রহমান জানান, গত সোমবার রাত ৮টার দিকে তিনি গাড়িতে করে উপজেলা থেকে বের হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ছেলের অসুস্থতার খোঁজ নিতে পিরোজপুর সদর হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় উপজেলা সড়কে স্থানীয় সজীব হাওলাদারসহ অপরিচিত কয়েকজন তাঁর গাড়ির গতিরোধ করে। সজীব হাওলাদার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমানের ওপর হামলা করেন। তার ব্যবহৃত সরকারি গাড়িটিও ভাঙচুর করা হয়। এতে চেয়ারম্যান মতিউর রহমান আহত হন। সজীবের সঙ্গে রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ নেই বলে জানান চেয়ারম্যান।