কর্মসূচি থেকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন এলাকাবাসী। গত ২৯ জুলাই ওই বিস্ফোরণে দুজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কাশিপুর এলাকায় দুর্ঘটনাকবলিত ভবনটির সামনে এলাকাবাসী এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। এতে হতাহতদের স্বজনসহ তিন শতাধিক নারী-পুরষ অংশ নেন।
এলাকাবাসী বলেন, বিস্ফোরণে দুজন নিহত ও ১০ জন আহত হওয়া ছাড়াও আশপাশের বেশ কয়েকটি ভবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তবে অটোরিকশা শোরুমের মালিকপক্ষ থেকে কিংবা সরকারিভাবে হতাহতদের পরিবারের কারো খোঁজখবর নেয়া হয়নি। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন হতাহতদের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্ত ভবন মালিকরা। এছাড়া বিস্ফোরণ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও পুলিশ আসামিদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মানববন্ধন থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করা না হলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ সড়ক অবরোধসহ কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেন তারা। মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করে আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে শ্লোগান দেন।
ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ সড়কের পাশে ফতুল্লার কামিফুর এলাকায় একটি পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় মুসকান মটরস্ নামে একটি অটোরিকশা শোরুমে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ সময় পাঁচজন দগ্ধসহ পাশের আরও দুটি ভবনের দেয়াল ধসে সাত-আটজন আহত হন।
পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন থেকে দুজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অটোরিকশা শোরুমের মালিক ও কর্মচারীদের অভিযুক্ত করে ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলা করা হয়।