নগর সংবাদ।।নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা দেলপাড়া থেকে পাঁচ হাজার পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদক বিক্রির নগদ তিন লাখ টাকাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা জেলার ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর) মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ফতুল্লা মডেল থানার দাপা ইদ্রাকপুরের মো. মোছা বেপারীর পুত্র ও একই থানার পূর্ব দেলপাড়ার হক ভিলার চতূর্থ তলার ভাড়াটিয়া মো. মহাসিন (৩২) ও বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার ভাবানিপুরের মোঃ ইকবালের পুত্র এবং ফতুল্লা মডেল থানার এনায়েত নগর পঞ্চবটী হরিহর পাড়ার ইসলামিয়া ফার্মেসী এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার সংলগ্ন মাসুমের বাড়ীর চতূর্থ তলার ভাড়াটিয়া মো. ইমরান।
শুক্রবার (২২ জুলাই) ভোর রাতে তাদের কে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ইমরানের নিকট থেকে ১ হাজার পিছ ও মহাসিনের নিকট থেকে ৪ হাজার পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট এবং মাদক বিক্রির নগদ ৩ লাখ টাকা উদ্ধার করে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
জানা যায়, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলার ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর) সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে একটি দল শুক্রবার ভোর রাত সাড়ে ৪ টা থেকে সাড়ে ৫ টার মধ্যে ফতুল্লার দেলপাড়া এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে প্রথমে ইমরান কে ১ হাজার পিছ ও পরে মহাসিনকে তার ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে গ্রেপ্তার করে।
মহাসিনের স্বীকারোক্তি বা দেখানো মতে ঘরে থাকা স্টিলের আলমারীর ভিতর থেকে ৩ হাজার পিছ এবং তার প্যান্টের পকেট থেকে ১ হাজার পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক বিক্রির নগদ ৩ লাখ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর) তেজাগাও সার্কেলের পরিদর্শক হাওলাদার মো. সিরাজুল ইসলাম জানায়, গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তারা মহাসিনের অবস্থান এবং মাদকের চালানের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তারা গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ফতুল্লা মডেল থানা এলাকায় অবস্থান কর আসছিলো। তারা নিশ্চিত ছিলো যে মাদকের একটি বড় চালান মহাসিনের নিকট রক্ষিত।
তারা তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে রাত তিনটার দিকে নিশ্চিত হয় যে মহাসিন বাসায় মাদক সহকারে প্রবেশ করেছে। তখন তারা দেলপাড়াস্থ মহাসিনের ভাড়া বাড়ার সামনে অবস্থান গ্রহন করলে রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঐ বাসা থেকে একজন কে বের হতে দেখে তারা তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় তার নাম ইমরান।
একটি জরুরী কাজে সে এখানে এসেছিলো। তার শরীর তল্লাশী করলে তখন তার নিকট থেকে ১ হাজার পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এক পর্যায়ে সে স্বীকার করে যে মহাসিনের নিকট থেকে ইয়াবাগুলো নিয়ে এসেছে।
তখন তারা বাড়ীর মালিক কে ডেকে তুলে সাথে করে নিয়ে গিয়ে মহাসিনের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে ৪ হাজার পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদক বিক্রির নগদ ৩ লাখ টাকা উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় পৃথক পৃথক দুটি মাদক মামলা দায়ের করেছে।