হাফিজিয়া মাদ্রাসার এক কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী (৯) কে বলাৎকারের করার অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা রকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে। রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে মুছাপুর হরিবাড়ি এলাকার হাফেজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনাটি ঘটে। পরে এলাকাবাসী ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
লম্পট ওই মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা মোঃ রকিবুল ইসলাম সূদুর নাটোর জেলার সিংগার থানার নিংগইল গুনপাড়া গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে।
তথ্যসুত্রে জানাগেছে, বন্দর উপজেলার মুছাপুর (৮নং ওয়ার্ড) হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মোঃ রকিবুল ইসলাম বেশকিছুদিন যাবৎ এই মাদ্রাসায় চাকুরী করে আসছিল। প্রায় সময়ই সে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের কোলে তুলে আদর করত।
তবে এই আদর কোন স্নেহের আদর ছিলনা। এটা অসৎ চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ বলে এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত জানুয়ারী মাসের প্রথমদিকে মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা মো. রকিবুল ইসলাম এক শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করেছিল। এবং ওই শিশুকে ভয় দেখিয়ে কারো কাছে বলতে বারন করেছিল। ফের রোববার সকাল ১০টায় ওই মাদ্রাসায় ওই শিশুটিকেই পূণরায় বলাৎকার করার চেষ্টা করলে শিশুটি চিৎকার দিলে আশপাশের লোক এসে ওই শিক্ষককে উত্তম মধ্যম দিয়ে আটক করে।
এক পর্যায়ে লম্পট শিক্ষক কৌশলে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়। পরে বন্দর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে লম্পট শিক্ষক রাকিবুল ইসলামকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ দীপক চন্দ্র সাহা জানান, ছাত্র বলাৎকারের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করতে সক্ষম হয়েছি।