বৃহস্পতিবার ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সকাল ৭:২১
শিরোনামঃ
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক-প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে বসে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন।করছেন- আইসিএসএসআর–ইআরসি স্পনসরড একদিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত।।  নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ নির্বাচন থেকে সরে গেলেন বিএনপির বর্ণাঢ্য বিজয় র‍্যালি ও সমাবেশ চট্টগ্রামে।। বন্দরে সক্রিয় মাদক ও নারী পাচার চক্রের মূল হোতা এখনো অধরা কুতুবপুর ১১৯ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিজয় দিবস উদযাপন ও পঞ্চম শ্রেণী ছাত্রছাত্রীদের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত। আপনারা একে অপরকে প্রতিযোগী হিসেবে দেখবেন, শত্রু নয়-দলগুলোকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।। চৌহালীতে বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণ  মহান বিজয় দিবসে ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন -প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বাংলাদেশি নাগরিক মিসরে গিয়ে চাকরি ছেড়ে ঘুরতে থাকেন বিভিন্ন রাস্তায়।

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর, ১০, ২০২১, ৮:৪১ অপরাহ্ণ
  • ৫৪৮ ০৯ বার দেখা হয়েছে

নগর সংবাদ।।বাংলাদেশি নাগরিক মিসরে গিয়ে চাকরি ছেড়ে ঘুরতে থাকেন বিভিন্ন রাস্তায়।
গিয়েছিলেন মিসরে। স্বপ্ন ছিল সেখানে চাকরি করে সংসারে সচ্ছলতা ফেরাবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল। মিসরে যাওয়ার কিছুদিন পর মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন বাদল মিয়া। চাকরি ছেড়ে ঘুরতে থাকেন রাজধানী কায়রোর বিভিন্ন রাস্তায়। এভাবেই কেটে যায় কয়েক বছর। এসময় বাদল মিয়া নিজেকে কখনো বাংলাদেশি, কখনো ভারতীয় বা শ্রীলঙ্কান বলে দাবি করেন।

কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশে বাদল মিয়ার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার পূর্বহাটি গ্রামে।

মোহাম্মদ ইউসুফ নামে মিসরীয় এক ব্যক্তি কায়রোর বাংলাদেশ দূতাবাসে ফোন করে বাদল মিয়ার খোঁজ দেন। পরে রাষ্ট্রদূতের নির্দেশে দূতাবাসের শ্রম বিভাগের কর্মকর্তারা ছুটে যান তার কাছে। তারা নিশ্চিত হন বাদল মিয়া বাংলাদেশের একজন নাগরিক। তিনি মিসরে আওয়াল গামাল নামক স্থানে অবস্থিত ডাইস পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন। অনেক বছর আগে ছেড়ে দেন সেই চাকরি।

পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে একটি মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দূতাবাস কর্মকর্তারা। কিন্তু বাদল মিয়া চিকিৎসা নিতে এমনকি দেশে আসতেও অস্বীকৃতি জানান। এরপর দীর্ঘদিন আর খোঁজ মেলেনি তার।

দূতাবাসের শ্রম সচিব মুহাম্মদ ইসমাঈল হুসাইন বলেন, বেশ কিছুদিন পর আমরা আবার বাদলকে ভারসাম্যহীন অবস্থায় পাই। এরপর তাকে জোর করে আল-আব্বাসিয়া মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু সেখানে বাদলকে চিকিৎসা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন চিকিৎসকরা। তারা জানান, তাকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করতে হলে থানা বা আদালতের মাধ্যমে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। চিকিৎসার সব খরচ বহন করতে হবে রোগীকে।

jagonews24

এরপর বাদলকে নিয়ে মিসরের আল-নুজহা থানায় গেলে সেখানের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, আমরা শুধু আসামি সংক্রান্ত বিষয়ে হাসপাতালকে সহযোগিতা করি, অন্য কোনো বিষয়ে নয়।

শ্রম সচিব আরও বলেন, স্থানীয় পুলিশ ও হাসপাতালে ভর্তি করাতে ব্যর্থ হয়ে রাষ্ট্রদূতের নির্দেশে বাদলের চিকিৎসার জন্য আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতা চাই।

এসময় আইওএম কর্মকর্তা ড. হাতেম ও ইব্রাহিম বাদলের চিকিৎসা ও দেশে ফেরত পাঠাতে উদ্যোগ নেন।

অবশেষে মিসরে আসর-ঈল-মাদী নামক একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর বাংলাদেশে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিশেষ বিমানে করে আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার একজন চিকিৎসকসহ বাদল তার জন্মভূমি বাংলাদেশে পথে রওনা দেন।

মিসরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, বহু চেষ্টার পর একজন মানসিক রোগী বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিককে তার পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি।’

তিনি আরও বলেন, বাদলের বিমান ভাড়াসহ যাবতীয় খরচ বহন করেছে আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম)।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell