শুক্রবার ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ২:৪৫
শিরোনামঃ
দুই হাজার টাকা চুরি করে ফেরত চাওয়ায় পরের দিন মা–মেয়েকে হত্যা করে গৃহকর্মী আয়েশা।। মানবাধিকার সুরক্ষায় বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে মানব কল্যাণ পরিষদের শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত আগামী নির্বাচনকে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের মাধ্যমে স্মরণীয় করে রাখবে-প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মোহাম্মদপুরে বাসায় মা-মেয়েকে হত্যা-ঝালকাঠি থেকে গৃহকর্মী গ্রেফতার বাংলাদেশ যুব হকি দলকে অভিনন্দন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পরিষ্কার নিয়ে প্রতিদিনের যন্ত্রণায় কি আপনি ক্লান্ত? চুলহীনতা এখন অতীত—অরিজিনাল হেয়ার উইগ ম্যানুফ্যাকচারারের হাতে আত্মবিশ্বাসের পুনর্জন্ম । সহকারী প্রধান শিক্ষক নিলুফা ইয়ামীন কে সাবেক অধ্যক্ষ শীতল চন্দ্র দে ২ বছর বিদ্যালয়ে আসতে দেয়নি অবৈধ ক্ষমতায়। শ্রেষ্ঠ জয়িতা পুরস্কার পেলেন চৌহালীর তিন নারী   “প্রিয়ার ভুবন”একটি আবৃত্তিচর্চা কেন্দ্র।

বাবা মাকে নিয়ে সংগ্রামী জীবন- স্বপ্ন পূরনে লেখাপড়া।

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর, ২২, ২০২১, ৭:৫৯ অপরাহ্ণ
  • ২৭৪ ০৯ বার দেখা হয়েছে

নগর সংবাদ।।বাবা মাকে নিয়ে সংগ্রামী জীবন- স্বপ্ন পূরনে লেখাপড়া।

মিলি আক্তার, বয়স ১৭ বছরের কম। দশম শ্রেণির এই ছাত্রীর এক হাতে পরিবার চালানোর ভার, অন্য হাতে বই। বাবা-মাকে নিয়ে সংগ্রামী জীবন তার। পরিবারের দেখভালের পাশাপাশি নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছে সে। ফরিদপুরের নগরকান্দার তালমা ইউনিয়নের ধুৎরাহাটি গ্রামের আ. বারেক ব্যাপারীর মেয়ে মিলি আক্তার।

 

সে ধুৎরাহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। আর্থিক অভাব-অনটনের মধ্যেও সে জেএসসি পরীক্ষায় সুনামের সঙ্গে কৃতকার্য হয়। মিলির বাবা বারেক ব্যাপারী চায়ের দোকান চালাতেন। ছয়-সাত বছর ধরে চোখের দৃষ্টি হারিয়ে চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছেন তিনি। টাকার অভাবে চোখের অপারেশন করতে পারেননি।

 

মা সূর্য খাতুন বৃদ্ধা এবং শারীরিকভাবে অক্ষম। চার ভাইবোনের মধ্যে বিয়ের পরে সবাই পেতেছেন আলাদা সংসার। একমাত্র মিলিই থাকে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে। তাই উপায়ন্তর না পেয়ে নিজের ও বাবা-মায়ের পেটের তাগিদে মিলি আক্তার হাতে তুলে নিয়েছেন গরম চায়ের কেতলি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই বৃদ্ধ অসহায় দম্পতির একমাত্র ভরসা দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে মিলি আক্তার। তাদের জীবন যাপনের একমাত্র অবলম্বন চায়ের দোকান।

 

এ ছাড়া তাদের আয়ের আর কোনো উৎস নেই। মিলি চার-পাঁচ বছর ধরে স্থানীয় রসুলপুর বাজারে চায়ের দোকান করে সংসার চালাচ্ছে। পাশাপাশি চলছে তার পড়াশোনাও। সকাল হলেই স্থানীয় একটি বাজারে নিজ হাতে চা তৈরি করে বিক্রি করে মিলি। এভাবে সারাদিন শেষে রাত প্রায় সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলা ওই দোকানের আয়েই চলে তাদের সংসার। চা বানানোর ফাঁকে ফাঁকে কথা হয় মিলির সঙ্গে।

 

সে বলে, ‘আমার একটাই আশা লেখাপড়া করে উচ্চশিক্ষা অর্জন করব। মানুষের মতো মানুষ হবো। চাকরি করে জীবন কাটাব। কিন্তু তা আর পারছি কই? ভাইয়েরা সংসারের কোনো খোঁজ রাখেন না। মা-বাবা কাজকর্ম করতে পারে না। আয়ের ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়ে আমাকেই সংসারের হাল ধরতে হয়েছে। কিন্তু চায়ের দোকান চালিয়ে সংসারের হাল ধরে আবার পড়াশোনা করা অনেক কষ্টের।’ মিলির বাবা আ. বারেক ব্যাপারী আবেক আপ্লুত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার নিজের প্রতি খুব লজ্জা ও ঘৃণা হয়।

 

মেয়ে এই বয়সে বাজারে মানুষের হাতে চা দেয়। কিন্তু খাব কী? সংসার চলবে কীভাবে? আমি চোখে দেখি না, কাজ করতে পারি না। কী আর করার, সবই আল্লাহর ইচ্ছা।’ মিলির স্কুল শিক্ষক মো. ইউনুস মিয়া বলেন, ‘মিলি একজন মেধাবী ছাত্রী। দোকানের পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া খুব সহজ নয়। এরপরও জানামতে সে লেখা পড়ায়ও ভালো। আমাদের স্কুল থেকে যতটুকু সম্ভব ওকে সহযোগিতা করা হচ্ছে।’ মিলির সহযোগিতায় সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।এ প্রসঙ্গে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেতী প্রু বলেন, ‘খোঁজখবর নিয়ে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে।’

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell