নগর সংবাদ।।আজ বিজয়ের দিন। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর স্বাধীনতার বিজয় এসেছিলো ১৯৭১ সালে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ও নেতৃত্বে যে বিজয় এসেছিলো তার আজ ৫০ বছর পূর্ণ হলো। এই দিনে সারা দেশে চলছে নানা রকম আয়োজন ও উৎসব। দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনেও দেখা যাচ্ছে সাজ সাজ রব।
এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রত্যাশায় বুক বেঁধেছেন সারা দেশের মানুষ। এই চেতনায় অভিনয়ের আঙিনায় গেল ৫০ বছরে কি অর্জন, কি অর্জন হতে পারতো সেই নিয়ে কথা বলেছেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুজাতা। তিনি জানিয়েছেন কেমন বাংলাদেশ চাই সেই প্রত্যাশার কথাও।
অর্জন
অভিনেত্রী সুজাতা ১৯৬৫ সালের রূপবান চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। চলচ্চিত্রশিল্পে তার অবদানের জন্য ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তাকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। দীর্ঘ ৫০ বছরের চলচ্চিত্র নিয়ে তার ভাবনা, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব পালন করছি আমরা। এইরকম উৎসব দেখে যেতে পারছি সেজন্যই অনেক ভালো লাগছে। এটাও একটি অর্জন আমার কাছে। করোনা না থাকলে মনে হয়ে আরও অনেক বড় করে পালন হতো। এই ৫০ বছরে সিনেমা অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে নতুনরা। তারা অনেক প্রজ্ঞা নিয়ে এসে সিনেমা তৈরি করছে। আমার কাছে অনেক ভালো লাগছে। আগের মতো কষ্ট করতে হয় না সিনেমাতে কাজ করতে। অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে সবকিছু।
এখন আমাদের সিনেমা বিশ্বের বড় বড় পরিচালকদের সিনেমার সঙ্গে দেখায়। তাদের সঙ্গে কম্পিটিশন অনেক পুরস্কার নিয়ে আসছে। সিনেমার মান এখন ভালো হচ্ছে। বিদেশ থেকে পড়ে এসে প্রফেশনাল লোকজন কাজ করছে আগের থেকে এখন বেশি।
আক্ষেপ
কষ্টের বিষয় হলো আগের মতো অনেক সিনেমা হচ্ছে না। কয়েকটা সিনেমা হচ্ছে। সেখানে গল্পটা স্ট্রং হচ্ছে না। ৯০ দশকের গল্প স্ট্রং ছিল দেখেই আমার মতো অভিনেত্রীর জন্ম হয়েছে। দর্শক দেখতে আগ্রহ দেখাতো তার জন্য এতো সিনেমা হল হয়েছিল।
এখন পরিচালকরাও আগের মত স্ট্রং হতে পারছে না। প্রযোজকের কথা শুনতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে সিনেমাটা তৈরি করতে পারছে না। প্রযোজকের কথায় অমুক নায়িকা অথবা নায়ক নিতে হবে। গল্পের সঙ্গে যাচ্ছে না, তাদের কিন্ত নিতেই হচ্ছে। তা না হলে সিনেমাটা তৈরি হচ্ছে না। এছাড়াও বিএফডিসিতে এখন প্রচুর পরিমাণ আজে বাজে লোক দেখা যায় এখন। তারা এই রকম একটা কাজের জায়গায় কেমন করে যায় বুঝতে পারি না।
সম্ভাবনা
তারপরও বলবো যে আমাদের সিনেমা হলো সেরা সিনেমা। কলকা্তায় সিনেমা যেভাবে চেঞ্জ হয়েছে আমরা তো দেখছি। আমাদেরও হবে। আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিটা এখন টার্নিং পয়েন্টে আছে। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করছেন তাতে কয়েক বছরে মধ্যে আমাদের সিনেমাটা দাঁড়িয়ে যাবে। একটু অপেক্ষা করতে হবে।