সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালকে হারিয়ে ইতিহাসগড়া নারী ফুটবল দল দেশে ফিরেছে। বিশ্বজয়ের স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) চত্বরে বেড়ে উঠেছেন সাবিনা খাতুনরা। এখানে থেকেছেন, নিজেদের তৈরি করেছেন। ধীরে ধীরে বিশ্বজয়ের স্বপ্নের জয়যাত্রায় নিজেদের এগিয়ে নিয়েছেন।
রাজধানীর আরামবাগে বাফুফে ভবনের চতুর্থতলার আবাসিক ভবনে থাকেন নারী ফুটবলাররা। সকালে নতুন দিনের সূর্য ও সন্ধ্যার আঁধার দেখেন এই ভবন থেকেই। শত শৃঙ্খল ভেঙে আঁধার কাটিয়ে আলোর জন্য এখান থেকেই ইতিহাস গড়ে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের সুনাম ছড়ানোর স্বপ্ন দেখেন তারা। বাফুফে ভবনের পূর্ব-দক্ষিণ কোণে থাকা বিএফএফের ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় তৈরি করা শেখ কামাল বিএফএফ এলিট ট্রেনিং সেন্টারে নিয়মিত উন্নত প্রশিক্ষণ নিয়েছেন খেলোয়াড়রা।
বাফুফে ভবনের পূর্বপাশে অবস্থিত খেলার মাঠে নিয়মিত প্র্যাকটিস করেছেন নারী ফুটবলাররা। এখানে দক্ষ প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে শিরোপা জেতার যাবতীয় কলাকৌশল রপ্ত করেছেন তারা। পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী সাবিনারা আজ ট্রফি নিয়ে ফিরেছেন সেই চিরচেনা ঘরে। স্বপ্নের ট্রফি নিয়ে দেশে ফেরার পর প্রথম রাতটিও এই বাফুফেতেই কাটাবেন তারা।
নারী ফুটবল দলের এই বিজয় তাদের অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। নানা সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও নিরন্তর প্রচেষ্টা থাকলে লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় তা এখন বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন তরুণ ফুটবলাররা। এটি দেশের ফুটবল অঙ্গনে গুণগত পরিবর্তন আনবে এবং সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছেন অনেকে।
চ্যাম্পিয়নদের বরণ করতে আজ দুপুর পৌনে ৩টায় কালো রঙের একটি প্রাইভেটকারে বাফুফেতে আসেন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। এ সময় হাসিমুখে তাকে ভবনের ওপরে উঠতে এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে দেখা যায়। বিমানবন্দর থেকে শোভাযাত্রা সহকারে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা হয়ে সাফজয়ীরা বাফুফেতে এসে পৌঁছালে সভাপতি নিজে তাদের বরণ করেন।