চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক স্থান ছাড়া দেশের অন্য কোথাও বৃষ্টি হয়নি। ভ্যাপসা গরমে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠছে। তীব্র গরমে সীমাহীন দুর্ভোগে মানুষ। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় যে তাপমাত্রা রয়েছে, এর চেয়ে অনেক বেশি অনুভূত হচ্ছে। মানুষের শরীরের প্রচুর ঘাম হচ্ছে, ঘাম সহজে শুকাচ্ছে না। এতে অস্বস্তি বেড়ে যাচ্ছে বহুগুণ।
গরমে লোডশেডিং দুর্ভোগের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েক গুণ। নগরবাসীর জন্য বাড়তি যন্ত্রণা যানজট।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সৈয়দপুর ও রাজশাহীতে ছিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন রংপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাঙামাটিতে ১৯ ও টেকনাফের ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এসময়ে গোপালগঞ্জে এক মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী এবং সৈয়দপুর জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং সিলেট, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগ এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
মনোয়ার হোসেন আরও জানান, আগামী দুইদিনে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষা) টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে।