ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা ক্রাইম বিভাগ সোমবার রাতে রাজশাহী জেলার রাজপাড়ার ডাবতলা এলাকা থেকে আতিক হোসেন ওরফে জয় ও মলি আক্তার ওরফে শান্তা চৌধুরী দম্পত্তিকে গ্রেপ্তার করে।
মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি গোয়েন্দা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ও ডিবি-উত্তর) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, “প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান ফেইসবুকে শান্তা চৌধুরীর আইডি থেকে একটি পোস্ট দেখতে পান। যেখানে তিনি লিখেছেন, “ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপিকে। আমাকে দুই বছরের জন্য এপিএস হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার জন্য।
“এ পোস্টের বিষয়টি মাননীয় মন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়। প্রকৃত পক্ষে, শান্তা চৌধুরী নামের কাউকে মন্ত্রী চেনেন না এবং তার এপিএস হিসেবে নিয়োগও দেননি। এ আইডি থেকে মন্ত্রীর এপিএস পরিচয় দিয়ে ফেইসবুক, মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন অংকের টাকা দাবি করে।”
এ ঘটনায় রাশেদুজ্জামান বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন বলে জানান ডিবির যুগ্ম কমিশনার।
তিনি আরও বলেন, “মামলার তদন্তকালে গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে রাজশাহী থেকে আতিক ও শান্তাকে গ্রেপ্তার করেন।”
হারুন অর রশীদ জানান, তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোন পর্যালোচনা ও জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান সম্পর্কে পারদর্শী। তারা প্রতারণার উদ্দেশ্যে ফেইসবুকে ফেইক অ্যাকাউন্ট খুলে নিজেদের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রীর এপিএস দাবি করেন।
“চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে বিভিন্ন লোকজনের কাছে মোটা অংকের টাকা চায় এবং তাদের মোবাইলে ফেইসবুকের অসংখ্য ফেইক অ্যাকাউন্ট পাওয়া যায়।