বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বে মায়েদের স্মরণ করতে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব মা দিবস’। দিবস উপলক্ষে ১১ জন গর্ভধারিণী কৃতি মাকে ‘স্বপ্নজয়ী মা’ সম্মাননা দিয়েছে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর।
সোমবার (১৩ মে) রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনে অবস্থিত মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ১১ জন মায়ের হাতে এই বিশেষ সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। সম্মাননা তুলে দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিমিন হোসেন (রিমি)।
সম্মাননাপ্রাপ্ত মায়েরা হলেন—জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের মোছা. অবিরণ নেছা, পিরোজপুর জেলার সদর উপজেলার কাজী রুহিয়া বেগম হাসি, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের ফরিদা ইয়াসমিন, কক্সবাজারের মহেশখালীর মিনা রাণী পাল, কুষ্টিয়ার কালীশংকরপুরের রওশন আরা রহমান, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার মোছা. আফরোজা বেগম, পাবনা সদর উপজেলার রহিমা খাতুন, কুড়িগ্রাম রাজারহাটের শ্রীমতি মিনা রানী রায় সিং, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের মোছা. জাহানারা বেগম, নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার জাকিয়া খন্দকার এবং কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের মায়া রানী দাস।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, মা শুধু একটি শব্দ নয়, মা হলো একটি আবেগের নাম, মা হলো আমাদের শেষ আশ্রয়স্থল। সন্তানের উন্নয়নের জন্য একজন মা নির্দ্বিধায় সবকিছু উজাড় করে দিতে পারেন।
তিনি বলেন, সমাজ ও সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রতিনিয়ত কোনো প্রকার বিনিময় ছাড়া যিনি স্নেহ, মায়া-মমতা দিয়ে আমাদের বড় করে তোলেন তিনি হলেন মা। সন্তানকে প্রতিষ্ঠিত করার পেছনে মায়ের সারা জীবনের সকল ত্যাগ ও শ্রমের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতা অনুধাবন করাই মূলত মা দিবস উদযাপনের মূলমন্ত্র।
আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক। আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচারক কেয়া খান। অনুষ্ঠানে সম্মাননা হিসেবে একটি ক্রেস্ট, সনদপত্র এবং অর্থমূল্য হিসেবে প্রাইজবন্ড তুলে দেওয়া হয় কৃতি মায়েদের হাতে।