আহতরা দাবি করেন, মোবাইল চুরি যাওয়াকে কেন্দ্র করে পরিচিত যুবকরা তাদের ওপর হামলা করে।
সোমবার (৮ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কালশীর বাউনিয়া সি ব্লকের ৬ নম্বর রোডের ১৮ নম্বর টিনশেড বাসায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, ইলেকট্রিক মিস্ত্রী ইদ্রিস আলী (৪০) ও তার স্ত্রী চাদনী আক্তার (৩০)। চাদনী গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। তাদের বাড়ি মাদারীপুরের শীবচর উপজেলার নিলুথি গ্রামে।
আহত ইদ্রিস জানান, ভোরে সেহরি খেয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনই ঘুমিয়ে ছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর স্থানীয় ইয়াসিন, সোলাইমান, মোহাম্মদ আলী ও জাকির তাদের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। এরপর প্রথমে চাদনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। তখন ইদ্রিস তাদের বাধা দিলে তাকেও কোপাতে থাকেন হামলাকারীরা। এক পর্যায়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের ফেলে রেখে পালিয়ে যান তারা।
আহত চাদনী জানান, ইয়াসিনের সঙ্গে তাদের পারিবারিকভাবে ভালো সম্পর্ক। নিয়মিতই তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন তিনি। গতকাল রোববার রাতে ইয়াসিন তার সঙ্গীদের নিয়ে তাদের বাসায় আসেন। তারা আসার পর বাসা থেকেই ইদ্রিসের মোবাইল চুরি হয়ে যায়। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর চুরি হওয়া মোবাইল ফোনটি মোহাম্মদ আলীর কাছে পাওয়া যায়। তখন তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ইদ্রিস চড় মারেন ইয়াসিনকে। চড় খেয়ে ইয়াসিন তার সঙ্গীদের নিয়ে ওই বাসা থেকে চলে যান। তার জের ধরেই ভোরে ধারালো অস্ত্রসহ তাদের বাসায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন তারা।
এদিকে চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ভোরেই স্বজনরা গুরুতর আহত ওই দুজনকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে তাদের ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন। ইদ্রিসের মাথায়, ঘাড়ে ও ডান হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আর চাদনীর মাথায় ও ঘাড়ে আঘাত। তাদের দুজনকেই চিকিৎসকরা নাক, কান, গলা বিভাগে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন। ঘটনাটি পল্লবী থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন।