বৃহস্পতিবার ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ রাত ১১:৫৭
শিরোনামঃ
Logo রূপগঞ্জে ব্যবসায়ীর সাত টুকরো মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় নারী গ্রেফতার Logo নদীর তীরবর্তী ভাঙন এলাকার উন্নয়নের গুরুত্ববোধে সুষম বণ্টন করা হবে-সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo খুলনায় বিষাক্ত খাবার খেয়ে ভাই-বোনের মৃত্যুর অভিযোগ Logo চুরির উদ্দেশ্যে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ,দুজনকে গ্রেপ্তার  Logo দাম্পত্য কলহের জেরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে আত্মহত্যা স্বামীর  Logo বিআরটিসি এবার চেসিস কিনে বাস বানাতে যাচ্ছে Logo নীলফামারীর জলঢাকা থানার আয়োজনে কমিউনিটি পুলিশিং মত বিনিময় সভা ও ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত। Logo চুপ করে থাকার উপকারিতা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায় Logo বাংলাদেশ ব্যাংক অনলাইনে কর পরিশোধে ফি বা চার্জ বেঁধে দিল Logo যুবলীগের সভাপতি তিন মাসেরও বেশি সময় আত্মগোপনে থাকার পর বের হলেই গুরুতর কুপিয়ে জখম 

মুনতাহার মুখের মধ্যে ওড়না ঢুকিয়ে এবং গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: নভেম্বর, ১০, ২০২৪, ১০:১০ অপরাহ্ণ
  • ১৬ ০৯ বার দেখা হয়েছে

       
 
  

 

 

 

মুনতাহার মুখের মধ্যে ওড়না ঢুকিয়ে এবং গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা

ছোট্ট শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন। বয়স মাত্র পাঁচ বছর। মিষ্টি হাসি দিয়ে ভুলিয়ে রাখতো পরিবারের সবাইকে। আপন করে নিয়েছিলেন প্রতিবেশীরাও। সেই মিষ্টি-চঞ্চল মেয়েটিকে হত্যা করা হয় নির্মমভাবে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত শিশুটির সাবেক গৃহশিক্ষক।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মুনতাহা আক্তার জেরিনকে পড়াতেন শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫)। তবে খারাপ আচরণের কারণে মুনতাহার বাবা তাকে পড়াতে নিষেধ করেন। এতে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে ওঠেন মার্জিয়া। শিশুটির বাবা-মায়ের ওপর প্রতিশোধ নিতে গত ৩ নভেম্বর মুনতাহাকে কৌশলে তিনি এবং তার মা আলিফজান বিবি তাদের বসতঘরে নিয়ে যান।

ঘরের ভেতর মুনতাহার মুখের মধ্যে ওড়না ঢুকিয়ে এবং গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ বস্তাবন্দি করে ঘরের মধ্যে রেখে দেন। এরপর গভীর রাতে মরদেহ পলিথিনে মুড়িয়ে বসতঘরের পাশে একটি নালায় পুঁতে রাখেন। আজ ভোরের দিকে নিজ বাড়ির পাশে নালা থেকে পুকুরে ফেলার সময় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় মার্জিয়ার মা আলিফজান বিবিকে আটক করে স্থানীয় জনতা।

এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে শিশু মুনতাহার সাবেক গৃহশিক্ষক শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫), তার মা আলিফজান বিবি (৫৫), পাশের বাড়ির মৃত ছইদুর রহমানের ছেলে ইসলাম উদ্দিন (৪০) ও মামুনুর রশিদের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫)।

মুনতাহা সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে। রোববার বাদ আসর বীরদল পুরানফৌদ জামে মসজিদে জানাজা শেষে গ্রামের পঞ্চায়েত কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। জানাজায় শত শত মানুষ অংশ নেন।

গত ৩ নভেম্বর দুপুরে শিশু মুনতাহা পার্শ্ববর্তী আব্দুল ওয়াহিদের বাড়ির শিশুদের সঙ্গে খেলতে যায়। ওইদিন বিকেল পর্যন্ত সে বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করেন পরিবারের লোকজন। সন্ধান না পেয়ে বাবা শামীম আহমদ কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

মুনতাহা নিখোঁজের পর থেকে থানা পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং তার আত্মীয়-স্বজন সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু কোনো সন্ধান পাননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে মুনতাহা নিখোঁজের বিষয়টি। সারাদেশের মানুষ নিখোঁজ মুনতাহাকে ফিরে পেতে ফেসবুকে আবেগঘন পোস্ট দেন। অনেকে স্বেচ্ছায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন।

মুনতাহার পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার রাতে সন্দেহজনকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশু মুনতাহার গৃহশিক্ষক মার্জিয়াকে থানায় নেয় পুলিশ। এসময় আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে মার্জিয়ার বাড়িতে মুনতাহার সন্ধানে তল্লাশি চালান স্থানীয়রা। রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাড়ির আশপাশে তল্লাশি চালানোর একপর্যায়ে মার্জিয়ার মা আলিফজান বিবিকে অন্ধকারের মধ্যে রাস্তা পার হতে দেখা যায়।

তাকে আটকাতে চাইলে তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এসময় স্থানীয়রা গিয়ে তার কোলে কাদামাটি মাখা মুনতাহার মরদেহ দেখতে পান। পরে মার্জিয়ার মাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell